৬৪ জেলা ও ৫০ টি দেশ থেকে ২৫০,০০০ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে
টানা ৯০ দিন ব্যাপী উদ্যোক্তা তৈরি ও মূল্যবোধ চর্চার অনলাইনপ্রশিক্ষণকর্মশালা
কথা হচ্ছিল জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ এর সাথে। তিনি বলেন,
নিজে স্বপ্ন দেখি ও তরুণদের স্বপ্ন দেখাই – এটা আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা যা আমি কোন প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়া করি এবং প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় ব্যয় করি এই কাজে।প্রায় অসম্ভব একটি স্বপ্ন আজ সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ও ৫০টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশী সহ ২৫০,০০০ তরুণ-তরুণীদের মাঝে ছড়িয়ে গেলো।
৩টি বিষয় নিয়ে কাজ করে অনলাইন প্লাটফর্ম “নিজের বলার মতো একটা গল্প” – “চাকরী করবো না চাকরী দেব” ঃ
১। উদ্যোক্তা বিষয়ক অনলাইনে টানা ৯০ দিন করে প্রশিক্ষণ অর্থাৎ একজন ইয়ুথকে উদ্যোক্তা হতে যা যা প্রয়োজন তার প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ৬৪ জেলায় ও ৫০ দেশে উদ্যোক্তা মিট আপ ও সম্মেলন।
২। মূল্যবোধ, লিডারশীপ, বিভিন্ন বিষয়ে স্কিলস ও একজন ভালোমানুষ হয়ে উঠার চর্চা কেন্দ্র।
৩। ভলান্টিয়ারিং এবং সোশ্যাল ওয়ার্ক ও মানবিক কার্যক্রম
গত ৮০০ দিন ধরে ৯ টি ব্যাচের মাধ্যমে চলেছে আমাদের এই অনলাইন কর্মশালা। একদিনের জন্যও আমাদের এই কর্মশালা বন্ধ ছিল না, শুক্রবার, শনিবার, সরকারী ছুটি এমনকি ঈদের দিনও আমরা সেশান করেছি। এটা সারা বিশ্বে একটি ইতিহাস – এত লম্বা এবং টানা ৯০ দিনের এক একটা ব্যাচ ও টানা ৮০০ দিনের কোন প্রশিক্ষণ কর্মশালা পৃথিবীতে কেউ কোনদিন করেনি।
আমরা শুধু স্বপ্ন দেখাইনি, কিভাবে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হয় তা শিখিয়েছি টানা ৯০ দিন ধরে এক একটি ব্যাচে। ৯০ দিন ধরে আমি শুধু উদ্যোক্তা হবার সকল কলা-কৌশল শিখাইনি, শিখিয়েছি কিভাবে একজন ভালোমানুষ হয়ে বুক ফুলিয়ে বাঁচে থাকতে হয়, কিভাবে সমাজের জন্য ও দেশের জন্য কাজ করতে হয় এবং সফল হতে হলে দরকার মা-বাবার দোয়া।
গত ৮০০ দিনে একদিনের জন্যও আমাদের এই অনলাইন কর্মশালা বন্ধ ছিল না, যা একটি ইতিহাস। এটা শুরু হয়েছিল জানুয়ারি ১, ২০১৮ তে মাত্র ১৬৪ জন তরুণদের নিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকে, যার শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ২৫০,০০০।
সম্পূর্ণ বিনা ফি তে এই অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার ৮০০ দিনের অর্জন ঃ
# আমরা ৮টা ব্যাচ শেষ করেছি টানা ৯০ দিন করে, চলছে ৯ম ব্যাচ
# বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ২৫০,০০০ তরুণদের বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি, যার মধ্যে ২৫,০০০ জন নারী
# বিশ্বের ৫০ টিরও বেশী দেশের প্রবাসী বাংলাদেশীরা যুক্ত আছে আমাদের এই প্লাটফর্মে।
# ১৪০ জন সফল ও গুণী মানুষকে এনে তাঁদের জন্য অনলাইনে কর্মশালা করেছি। এই কৃতি মানুষগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ।
# ২৪০০ উদ্যোক্তা তৈরি করেছি, যার মধ্যে ২৫০ জন নারী উদ্যোক্তা
# বগুড়ার একজন অসহায় গৃহহীনকে ১টা ঘর বানিয়ে দেয়া হয়েছে
# ২ জন গরীব তরুণকে ৫০,০০০ টাকা ও ৪ জনকে ২৫,০০০ টাকা করে মূলধন দিয়ে একটা ব্যবসা দাড় করিয়ে দিয়েছি।
# দেশের ৬৪ জেলায় সবাই মিলে প্রায় ১০,০০০ গাছ, ১০ হাজার ব্যাগ রক্ত ও ১৫,০০০ অসহায় শিশু ও বৃদ্ধকে ১ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছি।
# দেশের ৬২ জেলায় সবাই মিলে একযোগে গত রমজানে প্রায় ১৫,০০০ এতিম, অসহায় শিশু ও বৃদ্ধকে ইফতার করিয়েছি।
# দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা কবলিত ১০ টি পরিবারের মাঝে তাঁদের ভেঙ্গে যাওয়া ঘরের জন্য টিন বিতরণ ও প্রায় ১৫০০ পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
# দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতার্তদের মাঝে প্রায় ৪০০০ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
# আমাদের গ্রুপে একটা অনলাইন বাজার তৈরি করে দিয়েছি, যেখানে প্রতিদিন গড়ে ১০০টিরও বেশী অর্ডার কেনা বেচা হয়, যা আগামী ৬ মাসের মধ্যে ২০০ ছাড়িয়ে যাবে। এই প্লাটফর্মের সদস্যরা তাঁদের ক্রেতা-বিক্রেতা। আমাদের উদ্যোক্তারা আমাদেরই প্লাটফর্ম থেকে তাঁদের মাসিক বিক্রয়ের ২০%-৫০% সেল পাচ্ছে, কারণ আমাদের ২৫০,০০০ শিক্ষার্থী তাঁদের ক্রেতা।
# এখানে প্রতিদিন ৩০,০০০ এরও বেশী কমেন্ট আদান প্রদান হয়, যার ১০০% পজিটিভ চিন্তা।
# গত ৮০০ দিনে আমরা ২৫০,০০০ পজিটিভ মানুষ ও ভালোমানুষের চর্চা করতে পেরেছি।
# সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ও ৫০টি দেশে আমাদের আছে ৫০০ ভলান্টিয়ার।
# প্রতি সপ্তাহে সারা দেশে ও বিদেশে মিটআপের মধ্য দিয়ে চলছে আর অফলাইন কার্যক্রমও, এই পর্যন্ত ১০০০ মিট আপ ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯০ দিন ধরে শেখা, পার্টনার পাবার সুযোগ, ব্যবসা করা, কেনাবেচার সুযোগ, ভলান্টিয়ারিং, সামাজিক কাজ এবং ভালোমানুষি চর্চা সব একসাথে একই প্লাটফর্মে, এরকম সুযোগ আমাদের দেশে আর কোথাও নেই !
আমাদের লক্ষ্য আগামী ১ বছরের মধ্যে ১০০,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা অন্তত ৭০০০ উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্য দিয়ে। “চাকরী করবো না চাকরী দেব”
প্রায় ২৪০০ জন উদ্যোক্তা হবার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। যারা বিজনেস বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাঁরা আবার শুরু করেছেন, যারা আগে শুরু করা বিজনেসে ভাল করছিলেন না তাঁরা এখন আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছেন এবং অনেকে ভেবেছিলেন জীবনে চাকরী করা ছাড়া তাঁকে দিয়ে আর কিছু সম্ভব নয়, তিনিও চাকরী ছেড়ে উদ্যোক্তা হবার কথা ভাবছেন, কেউ কেউ শুরু করে দিয়েছেন।
যারা স্বপ্ন দেখেন নিজে কিছু একটা করতে চান, পরিশ্রম করতে চান, যাদের কোন তাড়াহুড়া নাই ও নিজের জীবনটাকে বদলে চান – আমরা শুধুমাত্র তাদেরকে নিয়ে কাজ করছি
আমাদের সাথে কাজ শেখার জন্য সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হল - আপনি একজন ভালোমানুষ।
৯০ দিনের কর্মশালাটি হচ্ছে অনলইনে প্রতিদিন। পুরো প্রকল্পটি করা হচ্ছে “বিনা ফি” তে অর্থাৎ প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে কোন টাকা দেয়া লাগছে না যেহেতু এটা আমার সামাজিক কাজের অংশ।
বাংলাদেশের উদ্যোক্তা বিষয়ক ব্যতিক্রমী অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম “নিজের বলার মতো একটা গল্প” এর তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ, ও ২৫০,০০০ তরুণ-তরুণীকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান উপলক্ষে জানুয়ারি ৪, ২০২০ এ ঢাকায় মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল এই অনলাইন প্লাটফর্মের ৬৪ জেলা থেকে ৪০০০ শিক্ষার্থীদের নিয়ে “উদ্যোক্তা সম্মেলন”। এতে ছিল ১৫০টি উদ্যোক্তাদের স্টল, রক্তদান কর্মসূচী, পুরষ্কার প্রদান ও “নিজের বলার মতো একটা গল্প” বইয়ের ৩য় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন।
‘নিজের বলার মত একটা গল্প’ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ২ লাখ তরুণ-তরুণী। দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৫০টি দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে এ প্ল্যাটফর্ম এখন দেশের বৃহত্তম অনলাইন ‘উদ্যোক্তা’ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি হয়ে গেল গতকাল শনিবার মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে। এদিন সমবেত হয়েছিলেন প্রায় চার হাজার তরুণ উদ্যোক্তা। এখানে উদ্যোক্তাদের ১৫০টি স্টল স্থান পায়। পুরো আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার ছিল দি ডেলি স্টার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উচ্ছ্বসিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সফলতার গল্পই হবে আগামী দিনে বাংলাদেশের গল্প।
উদ্যোক্তা সম্মেলন উদ্বোধন করেন জনাব আতিকুল ইসলাম মাননীয় সদ্য সাবেক মেয়র, ঢাকা (উত্তর)। অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এত বিপুল সংখ্যক উদ্যোক্তা তৈরি করা যায়, এটা সত্যিই অবাক করার মত বিষয়। অনলাইনের যথাযথ ব্যবহার হলে তার সুফল জনজীবনকে কীভাবে বদলে দিতে পারে এটা তারই প্রমাণ।
Facebook Group: https://www.facebook.com/groups/youngentrepreneursbdiqbal/
Youtube: https://www.youtube.com/channel/UCxvtB0vjoabTeK-JdajFyYA/videos?view_as=subscriber
ইকবাল বাহার, একজন উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মেন্টর, ইন্সপিরেশানাল স্পিকার, নিউজ প্রেজেন্টার ও বিজনেস প্রোগ্রাম অ্যাংকর। তিনি চার্টার্ড আকাউনটেন্সি (ইন্টার), এম কম ও এমবিএ করেন। ইন্টারনেট কোম্পানিতে চাকরী দিয়ে তার কর্ম জীবন শুরু করেন। এক সময় সেই রকম বিশাল একটি ইন্টারনেট কোম্পানির মালিক হন তিনি। চাকরী জীবনেও অত্যন্ত সফল ইকবাল বাহার খুব অল্প বয়সে একটি মাল্টিনেশানাল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার হন।
মাল্টিনেশানাল কোম্পানির লোভনীয় চাকরী থেকে ইস্তফা দিয়ে “চাকরী করবো না চাকরী দেব” এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেন নিজের কোম্পানিতে। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন চাকরী জীবনের শুরুতেই। উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্পটা এত সহজ ছিল না। ছিল ব্যাপক বাধা, অনিশ্চয়তা ও হেরে যাবার সম্ভাবনা। কিন্তু তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা ও ব্যাপক লেগে থাকা একজন সপ্নবাজ মানুষ। আজ তিনি অপ্টিমেক্স কমিউনিকেশান লিমিটেড, আলাদীন ডট কমও ইউটিভি এন্টারটেইনমেন্ট ডট কম নামক ৩টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সৃষ্টি করেছেন ২০০ মেধাবী তরুণদের কর্মসংস্থান।
উদ্যোক্তা তৈরির ৯০ দিনের কোর্সে যা যা আছে ঃ
১। যারা স্বপ্ন দেখেন নিজে কিছু একটা করতে চান, পরিশ্রম করতে চান, যাদের কোন তাড়াহুড়া নাই ও নিজের জীবনটাকে বদলে চান – আমরা শুধুমাত্র তাদেরকে নিয়ে কাজ করছি।
২। আমাদের সাথে কাজ শেখার জন্য সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হল - আপনি একজন ভালোমানুষ।
৩। পুরো কার্যক্রমটা হচ্ছে অনলইনে প্রতিদিন – ৬৪ জেলা ও ৫০ টি দেশ থেকে প্রবাসীরা সহ সবাই অনলাইনে অংশ গ্রহণ করছে।
৪। প্রতিদিন ১ টা করে পোস্ট বা ভিডিও বা নির্দেশনা বা হোমওয়ার্ক দেয়া হচ্ছে আমাদের ক্লোজড গ্রুপে ও পেইজে।
৫। এটি হল ৯০ দিনের অনলাইনে ও সরাসরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে ও গ্রুপে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
৬। ফেসবুক লাইভে সপ্তাহে ২ দিন করে সেশান করা হচ্ছে Utv Live.tv থেকে।
৭। পুরো প্রকল্পটি করা হচ্ছে “বিনা ফি” তে অর্থাৎ প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে কোন টাকা দেয়া লাগছে না – যেহেতু এটা আমার সামাজিক কাজের অংশ।
এই প্রকল্পকে সারা দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ৯০ দিনের সেশানের কন্টেন্ট গুলো নিয়ে একটা বই প্রকাশ করা হয়েছে গত একুশে বই মেলায়। বইয়ের সত্ত্ব বাবদ যে টাকা আমি পাচ্ছি তার পুরোটাই ব্যয় হচ্ছে গরীব ও অসহায় শিশুদের পড়াশুনার জন্য।
যা যা শেখানো হয় ৯০ দিনে?
১। উদ্যোক্তা হবার মানসিক প্রস্তুতি ও অনুপ্রেরণা
২। কিভাবে শুরু করবেন? কি কি লাগবে?
৩। বিজনেস আইডিয়া কিভাবে নিবেন?
৪। খুব অল্প পুঁজিতে কি বিজনেস শুরু করা যায়?
৫। আপনার মুল্ধন কিভাবে জোগাড় করবেন?
৬। কিভাবে বিজনেস শুরু করবেন?
৭। অফিস চালানোর দক্ষতা
৮। কিনবেন/উৎপাদন কিভাবে করবেন, বিক্রয় করবেন কোথায়? কাস্টমার কারা?
৯। মার্কেটিং প্ল্যান এবং নেটওয়ার্কিং
১০। মূল্যবোধ বৃদ্ধি, শেয়ারিং ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
১১। সবার আগে একজন ভালোমানুষ হওয়া
১২। লিডারশীপ ও মূল্যবোধ
১৩। কথা বলার জড়তা কাটানো, সবার সামনে কথা বলতে পারা
১৪। সামাজিক কাজ ও ভলান্টিয়ারিং
তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি ৯০ দিন পর আপনাদের এই ২৫০,০০০ জন সবার নিজের প্রতি বিশ্বাস, সাহস ও স্বপ্ন ভিন্ন মাত্রা পাবে এবং শুরু হবে বদলে যাওয়া একজন মানুষ।
বিজনেস আপনার মুল্ধন আপনার, আমরা আপনাকে স্বপ্ন দেখাব ও কিভাবে স্বপ্ন বাস্তনায়ন করতে হয় তার কৌশল শিখিয়ে দিব।
চাকরী করবো না চাকরী দেব - BE UR BOSS
৩ টি কারণে উদ্যোক্তা তৈরির এই উদ্যোগটি অনন্য, ব্যতিক্রম ও বাংলাদেশে এই প্রথমঃ
১। সারা বাংলাদেশ অর্থাৎ ৬৪ জেলা ও ৫০টি দেশ থেকে ইতিমধ্যেই ২৫০,০০০ জন তরুণ-তরুণীকে উদ্যোক্তা ও মূল্যবোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান।
২। টানা ৯০ দিনের অনলাইনে অংশগ্রহণ মুলক কর্মশালা (প্রতি শুক্র, শনিবার ও যে কোন সরকারী ছুটির দিন সহ) , যার ইতিমধ্যেই ৯টি ব্যাচ শেষ হয়েছে এবং
৩। এই পুরো কার্যক্রমটি হচ্ছে বিনামূল্যে অর্থাৎ প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে কোন ফি ছাড়া।
আর একটি ব্যতিক্রম হচ্ছে, এই প্লাটফর্মে প্রথম থেকে গত ৯টা ব্যাচে যারাই কর্মশালা করেছেন, তারা সবাই প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে কানেক্টেড আছেন, কারণ বিজনেস শুরু করার পর যে যে সমস্যা গুলো তৈরি হয় তা সমাধানেরও পরামর্শ দিচ্ছি সবসময়।
তারা এই গ্রুপে তাঁদের পণ্য/সার্ভিসের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে এবং এখান থেকেই তারা কাস্টমার পাচ্ছে এবং ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। তারা একে অন্যের পার্টনার/ইনভেস্টর হচ্ছে। কারো কাছে আইডিয়া আছে কিন্তু টাকা নেই, সে এখানে আইডিয়া সেল করে পার্টনার নিচ্ছে।
৯০ দিন ধরে শেখা, পার্টনার পাবার সুযোগ, ব্যবসা করা, কেনাবেচার সুযোগ, ভলান্টিয়ারিং, সামাজিক কাজ এবং ভালোমানুষি চর্চা সব একসাথে একই প্লাটফর্মে, এরকম সুযোগ আমাদের দেশে আর কোথাও নেই