শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের স্নেহধন্য কবি জহির দেহলভির সিপাহি বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘দাস্তান-ই-গদর: দ্য টেল অব দ্য মিউটিনি’। সিপাহি বিদ্রোহের এ অমূল্য দলিল নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজন—
বন্দিদের মুক্ত করার চেষ্টা
এর মধ্যে খানসামানি ভবন থেকে হাকিম আহসানউল্লাহ খানসহ রাজকীয় কর্মচারীরা দিওয়ান-ই-খাসে চলে আসেন। তখন সন্ধ্যা ছয়টা বাজতে কয়েক মিনিট বাকি বা বেজে গেছে। ইফতারের সময় প্রায় হয়ে গেছে। প্রচণ্ড তৃষ্ণা আমাদের শক্তি শুষে নিচ্ছিল। তখন সূর্যাস্ত হতে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের ধৈর্য যেন আর বাঁধ মানছিল না!
আড়ম্বরপূর্ণ উঁচু বাড়ির চূড়ায় সূর্যের রশ্মির দুর্বল কিরণ দেখা যাচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎই লাল পর্দা দরজার সামনে এক বিরাট ভিড় উপস্থিত হলো। এ ভিড় যখন দিওয়ান-ই-খাসের চত্বরে পৌঁছল, তখন আমরা দেখলাম পঞ্চাশ-পঞ্চান্নজন আহত নারী-শিশু ও চার-পাঁচজন আহত পুরুষ এগিয়ে আসছে এবং তাদের ঘিরে আছে পুরবিয়া ও অন্যদের বিরাট ভিড়। পুরবিয়ারা তাদের বন্দিদের তসবিহখানার সিঁড়িতে বসতে বাধ্য করল।
আমরা তাদের দেখার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। দেখলাম বন্দিদের শরীর রক্ত ও ধুলায় মাখামাখি হয়ে আছে। তারা ভীত ও আতঙ্কিত। আমাদের তসবিহখানার কাছে দেখে তারা পানির জন্য মিনতি করল। আমরা দুজন পানিবাহককে ডেকে আনলাম। তারা পানি বহনের দুটি চামড়ার থলেতে পানি এনে দিল। এ পানি দিয়ে বন্দিরা হাত-মুখ ধৌত করল এবং তারপর আঁজলা ভরে পানি পান করে। অনেক শিশু আঁজলা ভরে পানি পান করতে পারছিল না। তাদের জন্য খুব মন খারাপ লাগল। আমি পানি সংরক্ষণের কক্ষ থেকে দুটো কাগজের কাপ নিয়ে এলাম এবং সেগুলো তাদের মায়েদের দিলাম যেন তারা শিশুদের পানি পান করাতে পারেন। হাত-মুখ ধোয়া ও পানি পানের পর তারা বলে উঠলেন, ‘মুসলিম ভাইয়েরা, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ! আমরা সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম। আমাদের প্রাণ নেবেন না!’
তাদের কথা শুনে আমি কাঁদতে শুরু করলাম। অন্যদের চোখও ছলছল করছিল। খবরটা হুজুরের কাছে পৌঁছে গেল। তিনি ভেতর থেকে নির্দেশ পাঠালেন, আমরা যেন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ করি এবং বন্দিদের আমাদের হেফাজতে নিয়ে নিই।
আমার মনে আছে, সেখানে দুজন মানুষ উপস্থিত ছিল: তৃতীয় অশ্বারোহী দলের একজন রিসালদার গুলাব খান ও অন্যজন হলেন মীনা থেকে আসা একটি প্লাটুনের সফর মীনা পল্টনের সুবেদার কাদির বকশ। তারা দুজনই বয়স্ক, প্রাজ্ঞ মানুষ ছিলেন। তাদের বয়স ছিল পঞ্চাশ-ষাটের মধ্যে। অন্য সেনাদের তুলনায় তাদের দয়ালু ও কোমল হূদয়ের মানুষ বলে মনে হয়েছিল। তাই আমরা তাদের হাত ধরে দিওয়ান-ই-খাসের প্রথম হলঘরে আলোচনা শুরু করলাম।
একজন রাজকর্মচারী বিদ্রোহীদের উদ্দেশে বললেন, ‘শুনুন, হে মুসলিমরা! আপনারা বলেছেন এই বিবাদের মূল ভিত্তি হলো আপনাদের ধর্মীয় বিশ্বাস। আপনারা লড়াইয়ে নেমেছেন। কারণ আপনাদের মনে হয়েছে আপনাদের ধর্ম বিপদের মুখে। তাই প্রাজ্ঞ ও প্রৌঢ় মুসলিমদের মতামত শোনা এবং ইসলাম ও ইসলামী আইনের অনুসরণ আপনাদের জন্য বাধ্যতামূলক। আপনারা যদি নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করেন এবং গোঁড়ামিকে প্রশ্রয় দেন, তাহলে আর নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেয়ার যোগ্য থাকবেন না। নবী (সা.) ও খলিফাদের আমলে যখন ধর্মের ভিত্তিতে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের সঙ্গে যুদ্ধ হতো, তখন তাদের প্রতি তিনটি শর্ত রাখা হতো এবং তারা শর্তগুলো মেনে নিলে তাদের গ্রহণ করে নেয়া হতো।
প্রথম শর্তটি থাকত—যদি ইসলাম অনুসরণ করো, কলেমা পড়ো এবং আল্লাহর একত্ব ও মুহাম্মদ (সা.)-এর নবীত্ব মেনে নাও, তাহলে তোমরা আমার ভাই। তাহলে আমরা যা, তোমরাও তাই। আমাদের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। তোমাদের সম্পত্তি, সম্পদ, স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই।
দ্বিতীয় শর্তটি হলো—যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ না করো, কিন্তু জিজিয়া দিতে সম্মত হও (অবিশ্বাসীদের ওপর আরোপিত কর), তাহলে তোমরা আমাদের হেফাজতে থাকবে এবং আমরা কখনো তোমাদের প্রতি দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করব না।
তৃতীয় শর্ত—উপরের শর্তের কোনোটাই না মানলে তোমাদের ও আমাদের মধ্যে ফয়সালা হবে তলোয়ারের মাধ্যমে।
এরা যদি যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেটা ‘মারো নয় মরো’ পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায়, তাহলে তাদের শাস্তি দিতে হবে, কিন্তু কেউ নারী ও শিশুদের প্রতি আঙুলও তুলতে পারবে না। নারী ও শিশুরা সব রকমের শাস্তিভোগ থেকে মুক্ত এবং যারা জিম্মি হবে, তাদেরও কোনো ক্ষতি করা যাবে না।
খুবই আশ্চর্যের বিষয়, এনারা কলেমা পড়েছেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, অথচ তার পরও তোমরা তাদের হত্যা করতে চাইছ। এটা তোমাদের কেমন ইমান, তোমরা কোন ধর্মের পক্ষে লড়াই করছ? দুনিয়ার কোনো ধর্মই নারী ও শিশুহত্যার ঘটনাকে ক্ষমা করবে না।
একজন বিদ্রোহী জবাব দিল, ‘ঠিক আছে। তাহলে আমরা কী করব?’
‘তোমরা এনাদের বাদশাহ-ই-ইসলামের হেফাজতে ছেড়ে দেবে এবং তিনি এদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দেবেন এবং তাদের সুবিধা ও ইচ্ছামতো বিয়ে দেবেন’—রাজকর্মচারী বললেন।
এভাবে দীর্ঘ আলোচনার পর বিদ্রোহীরা বন্দিদের আমাদের হাতে তুলে দিতে সম্মত হলো। তারা বলল, ‘এদের নিরাপদ হেফাজতে রাখবেন।’
এ অনুরোধ হুজুরের কাছে প্রেরণ করা হলে তিনি নির্দেশ দিলেন যেন তাদের নিরাপদে রাখা হয় এবং খাবার ও বিশ্রামের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়। কর্মচারীদের আরো নির্দেশ দেয়া হলো আহতদের চিকিৎসা দেয়ার।
আমি তসবিহখানার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েছিলাম। এর সিঁড়ির নিচে, দিওয়ান-ই-খাসের চত্বরে যারা বসেছিলেন, তাদের সবাইকে ভেতরে আসার আমন্ত্রণ জানালাম। সেখানে পুরুষ ছিল অল্প ক’জন, বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আমার হিসাবমতে, সেখানে প্রায় ষাটজন ছিল। তারা সবাই উঠে দাঁড়িয়ে তসবিহখানা হয়ে দিওয়ান-ই-খাসের ভেতরে আসছিল। তখন কেউ একজন তাদের বলল, ‘এ মানুষটিই অনেক চেষ্টা করে আপনাদের জীবন রক্ষা করেছে।’ তখন তারা আমাকে আশীর্বাদ করতে লাগল। ইত্যবসরে দেওরহির পর্দা উঠে গেল এবং এক সুন্দরী ইউরোপীয় তরুণী বেরিয়ে এলেন। এ তরুণীকে আমি ইউরোপীয় ও পুরবিয়াদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলাম। তার পেছন পেছন আরো দুজন নারী এলেন। তারা তিনজনই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমাদের এখন কোথায় যাওয়া উচিত?’
আমি জবাব দিলাম, ‘দিওয়ান-ই-খাসে আপনাদের জাতির আরো অনেকে আছেন। আপনারা সবাই তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।’
তরুণী জানতেন, আমি তার জীবন রক্ষা করেছি এবং তিনি ছিলেন ঈশ্বরভক্ত মানুষ। অসহায় অবস্থায় মানুষ খড়কুটোও আঁকড়ে ধরতে চায়। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি এখন কোথায় যাবেন?’
আমি জবাব দিলাম, ‘আমি বাড়ি যাব এবং আগামীকাল আবার সম্রাটের সামনে হাজির হব।’
সে বলে উঠল, ‘আমাকে আপনার বাড়িতে নিয়ে চলুন। আমার প্রাণটা তাহলে বেঁচে যাবে।’
আমি বললাম, ‘এখন আপনাকে কেউ হত্যা করবে না। আপনি সম্রাটের হেফাজতে আছেন।’
‘সেটা দেখা যাবে। আমাকে অবশ্যই আপনার সঙ্গে নিয়ে চলুন’—সে বলল।
আমি প্রশ্ন রাখলাম, ‘আপনাকে কীভাবে সঙ্গে নেব? আমরা দিওয়ান-ই-খাস থেকে বাইরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্রোহীরা আমাদের দুজনকেই হত্যা করবে।’
আমার কথা শুনে সে টলমল চোখে দিওয়ান-ই-খাসের দিকে চলে গেল।
আমি বাড়ির দিকে রওনা হলাম; দিওয়ান-ই-আম ও নকরখানার মধ্য দিয়ে গিয়ে কেল্লার লাহোরি দরওয়াজা দিয়ে বেরিয়ে এলাম। উর্দু বাজারের রাস্তায় পৌঁছে দেখলাম শহর সুনসান—একটা পাখিও কোথাও উড়ছে না। মনে হলো চারপাশে অদ্ভুত রকমের নির্জনতা ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানপাট লুট হয়ে গেছে। মানুষের বাড়িঘরের দরজা শক্তভাবে আটকানো। চারদিক নিশ্ছিদ্র আঁধারে ঢেকে আছে, কাচ ভাঙা অবস্থায় অনেক হারিকেন পড়ে আছে। কোতোয়ালির সামনে খুনি দরওয়াজা পার হয়ে আমি ছোটা দারিবার ফটকে পৌঁছলাম। এখানে দেখি মিষ্টি ও কাপড় ব্যবসায়ীদের দোকানগুলো ভাঙা। এক ঋণদাতার দোকানের সামনে একজন আহত, আফিমখোর ব্রাহ্মণ ফকির শুয়ে কাঁদছিলেন, গোঙাছিলেন। তার পিঠে তলোয়ারের তিনটি অগভীর ক্ষত। আমি মালিওয়ারা দিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে, তখনো রোজা ভাঙতে পারিনি। আমার জিভ ফুলে গেছে, তৃষ্ণায় জিভ ঝুলে পড়েছে। আমাকে দেখামাত্র বাবা আমার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানালেন। আমি শরবত খেয়ে রোজা ভাঙলাম এবং ইফতার সারলাম। সারা দিনে কী কী ঘটেছে বাবা সেসব জানতে চাইলেন। জানালাম কীভাবে আমি অনেকগুলো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি। বাবা আমার এ ভালো কাজের জন্য আমাকে দোয়া করলেন এবং আল্লাহর কাছে আরজি জানালেন যেন তিনি আমাকে এ মহৎ কর্মের জন্য পুরস্কৃত করেন। আমি খুব খুশি ছিলাম, কারণ আমরা সাইয়েদ এবং আল্লাহর নবী (সা.) ও তার বংশধররা সবসময় দয়ালু ছিলেন। এমনকি জনাব আলী মুর্তাজা করম আল্লাহ ওয়াজাহু (আল্লাহ তাকে আশীর্বাদ করুন) তার হত্যাকারীকেও এক বাটি দুধ খাইয়েছিলেন।
কিছু সময় পর আমরা কেল্লার দিক থেকে কামানের আওয়াজ পেলাম। আমি ভেবেছিলাম হয়তো ব্রিটিশ সেনারা এসে পড়েছে, তাই একজনকে পাঠালাম কী হয়েছে জেনে আসতে। প্রেরিত লোকটি ফিরে এসে জানাল, ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনারা বেরিয়ে শহরের ভেতরে চলে এসেছে এবং সতর্কতামূলক গোলা ছুড়ছে।
আমি সারা দিনের ঘটনাবলিতে খুব ক্লান্ত ছিলাম। তাই বালিশে মাথা রাখতেই ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলাম।
পরদিন সকালবেলা গোসল শেষে কেল্লায় গেলাম এবং সেখানে সারা দিন নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন কাজ শেষ করলাম। এদিন শহরের প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্রাটের পক্ষে ও আদেশে পালিত হচ্ছিল এবং বিষয়টি তত্ত্বাবধানের জন্য একজন কোতোয়াল নিয়োগ করা হয়েছিল।
আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল কয়েকজন পানিবাহক নিয়ে গিয়ে ম্যাগাজিনের আগুন নিভিয়ে ফেলার। কারণ আগুন বারুদে পৌঁছে গেলে পুরো শহরই উড়ে যাবে। কোতোয়াল আমার কাছে কয়েকজন পানিবাহক পাঠিয়েছিলেন এবং আমরা শহরের কিছু বাড়িতে জ্বলতে থাকা আগুন নিভিয়ে দিলাম। নদীর দিকে নগর দেয়াল ভেঙে পড়েছে। সেখানে যেন কামানের গোলার একটা পর্বত তৈরি হয়েছিল। সঙ্গে ছিল প্রায় ২০০ কামান। সেখানে ছিল অগণিত পিস্তল ও বন্দুক, পুরো ম্যাগাজিন যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে পূর্ণ ছিল। আমি এ অবস্থায়ই শেষবার ম্যাগাজিন দেখে এসেছিলাম। কয়েক দিন পর শুনি গুণ্ডা-বদমাশের দল ম্যাগাজিন লুট করেছে এবং কিছু কামানের গোলা বাদে আর সব সমরাস্ত্র নিয়ে গেছে।
শহরে এ বদমাশ ও গুণ্ডারা পুরবিয়াদের সহায়তায় বাড়িঘর লুটপাট করছিল। কোনো ধনী মানুষের বাড়িতে মূল্যবান সম্পদ আছে বুঝতে পারলেই গুণ্ডারা পুরবিয়াদের বাইরে পাহারায় রেখে বাড়িতে ঢুকত লুটপাট করতে।
রাজকর্মচারীদের মাথায় তখন সবসময় মৃত্যুর খড়্গ ঝুলত। বন্দুক হাতে ঘুরে বেড়ানো দুর্বৃত্তরা যেকোনো সময় আমাদের ঘিরে ফেলতে পারত। একদিন আমরা বিশ-পঁচিশজন হাকিম আহসানউল্লাহ খানের সঙ্গে খানসামানিতে বসেছিলাম। এমন সময় পুরবিয়ারা এসে আমাদের ঘিরে ফেলল। তারা আমাদের দিকে বন্দুক তাক করে বলে উঠল, ‘তোমরা ইমানদার নও। তোমরা সবাই খ্রিস্টান! তোমরা ব্রিটিশদের কাছে চিঠি লিখেছ।’
আমরা হতবুদ্ধি হয়ে গেলাম এবং মর্মপীড়া অনুভব করতে শুরু করলাম। আমরা বললাম, ‘আমাদের একেবারে মেরে ফেলো। এ নিত্যদিন হেনস্তা হওয়ার চেয়ে সেটাই আমাদের জন্য ভালো।’
কয়েকজন দায়িত্ববান কর্মকর্তা সওয়ারদের শান্ত করে সরিয়ে নিলেন। কিন্তু আমরা এ নিত্য হেনস্তা ও নির্যাতনে অসহ্য হয়ে উঠেছিলাম।
সেনাবাহিনীর অবস্থা এমন হয়েছিল যে, প্রতিদিনই ২০০-৪০০ সেনা তাদের রেজিমেন্ট ত্যাগ করে দিল্লিতে হাজির হচ্ছিল। কোলি জয়সার থেকে এসেছিল চার কোম্পানি সেনা; সফর মীনা প্লাটুন থেকে এসেছিল ৫০০-এর বেশি সেনা। এখন শহরে সব মিলিয়ে ৭০০০-৮০০০ পুরবিয়া অবস্থান করছিল।
তারা সম্ভ্রমের স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে
নিভিয়ে দিয়েছে ন্যায়বিচারের প্রদীপটাও