মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে দেশজুড়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক লাখ নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করবে।
“জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের (সফল নারী) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্যাক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম নারী মুক্তি ও নারী-পুরুষের সমতার কথা ভেবেছেন। এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই বাহাত্তরের সংবিধানে। যেখানে অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি নারী-পুরুষের সমতার কথাও বলা আছে। বাল্য বিবাহ নারী অগ্রগতির পথে বাঁধা। এটি শুধু আমাদের দেশের জন্যই জন্য বিশ্বের অনেক দেশেই এই সমস্যা রয়েছে।
প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষে আমরা বাল্য বিবাহ রোধে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়ছে। আপনারা প্রশাসনে আছেন। বাল্য বিবাহ রোধে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা যাতে বাংলাদেশকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা জানানো হয়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে গোপালগঞ্জের ফেরদৌসী আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে ঢাকার আখতারী বেগম, সফল জননী নারী হিসেবে মানিকগঞ্জের রেখা রানী ঘোষ, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন ক্যাটাগরিতে ঢাকার অরনিকা মেহেরিন ঋতু এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবাদানের জন্য ঢাকার ভেলরী এন টেইলরকে সম্মাননা জানানো হয়।