মুজিববর্ষ উদযাপনে সব ধরনের জনসমাগম স্থগিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সময় ক্ষমতায় থাকার সুযোগকে বিরাট পাওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনে সব জনসমাগম স্থগিত। পরবর্তীতে সব ঠিক হলে উদযাপন করবো। এটা আমাদের জন্য কষ্টকর। তবে জনগণ আমাদের কাছে আগে, জনগণ যেন কোনো ভাবে ঝুঁকিতে না পড়ে।
৯ মার্চ (সোমবার) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সরকার। আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধণী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জমকালো আয়োজনটি বাতিল করে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জন্মশতবার্ষিকী বিশাল আকারে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে লাখ মানুষ জমায়েত হবে। সেই জমায়েত বন্ধ করে দিয়েছি, তার কারণ কোনোভাবে মানুষের যেন ক্ষতি না হোক। জনগণের কল্যাণের জন্য করবো। হ্যাঁ এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। তবে আমাদের অন্য কর্মসূচি রাখবো, যেমন সকালে পুষ্পমাল্য অর্পন, টুঙ্গিপাড়া যাবো। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটা চাই না। আয়োজন সব ঠিক থাকবে। সব প্রোগ্রাম ঠিক থাকবে। পরবর্তিতে তারিখ দিয়ে করবো।
তিনি আরও বলেন, আপাতত সেগুলো নিয়ে সমস্ত কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করে দিয়েছি। সেগুলো ঠিক এই মুহূর্তে করবো না। কয়েক সপ্তাহ দেখবো, দেখার পর পরবর্তীতে এই সমস্যা যাবার পরে করবো।
শেখ হাসিনা বলেন, গতকাল আমি, রেহানা, আমরা সবাই ছিলাম, সায়মা ছিলো রেদোয়ান ছিলো সবাই মিলে মতামত দিয়েছি পরিবারের পক্ষ থেকে, আমরা বলে দিয়েছি আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণ সব থেকে বড়। জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন আমাদের জন্য একটা বিরাট পাওয়া। এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা উদযাপন করবো সেই উদযাপনটা একটু ভিন্নভাবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, লোকসমাগম যত কম হয় সেগুলো দেখে করবো। যাতে করে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে কোনভাবেই জনগণ ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা, তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য বলে মনে করি।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।