অস্কারের মঞ্চে বিজয়িনীর মুকুটে গর্বিত ভারতীয় প্রযোজক। ভারতীয় মহিলাদের বিশেষ সমস্যার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে।
এক জন মহিলার ঋতুমতী হওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ঋতুস্রাব কোনও রোগ নয়। ২০১৯ সালে পৌঁছেও এখনও এই কথা বার বার উচ্চারণ করতে হয়, বোঝাতে হয় ভারতীয় সমাজকে। এই সমাজের একটি বড় অংশ এখনও ঋতুস্রাব সংক্রান্ত কুসংস্কার থেকে বেরোতে পারেনি শুধু নয়। ঋতুস্রাব সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে এখনও এই দেশের মহিলাদের সিংহভাগ অবহিত নন।
গ্রামীণ ভারতের পটভূমিকায় তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ‘পিরিয়ড, এন্ড অফ সেনটেন্স’ ৯১তম অ্যাকাডেমি পুরস্কার মঞ্চে জিতে নিল সেরার শিরোপা। এই পুরস্কার নিঃসন্দেহে ভারতের পক্ষে গৌরবজনক। কারণ শুধুমাত্র বিষয়বস্তুর জন্য নয়, এই তথ্যচিত্রের প্রযোজক একজন ভারতীয়। দিল্লি-নিবাসী গুনিত মোঙ্গা-র ‘শিখিয়া এন্টারটেনমেন্ট’ এই তথ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছে।
এই ছবির বেশির ভাগ শ্যুটিংই হয়েছে ভারতের গ্রামাঞ্চলে, বিশেষ করে ‘প্যাডম্যান’ অরুণাচলম মুরুগনান্থম ও তাঁর উদ্যোগের প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছে এই তথ্যচিত্রে। তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতনামা পরিচালক রায়কা জেহতাবচি। তথ্যচিত্রটি রয়েছে নেটফ্লিক্স ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন থাকলেই দেখা যাবে এই ছবিটি।
অস্কারের মঞ্চে এই জয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত গুনিত। তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে সুখবরটি শেয়ার করে তিনি লেখেন— ‘‘আমরা জিতেছি। এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি মেয়েকে বলছি— জেনে রাখো তুমি একজন দেবী… যদি স্বর্গ পর্যন্ত আমার এই কথা পৌঁছয়, তবে বলতে চাই— মা, এই দেখো ‘শিখিয়া’-র জয়!’’