ইসলামে নারী অধিকার |
ইসলামিক নারীবাদ একটি তুলনামূলক নতুন তত্ত্ব এবং এর সমালোচনাও আছে৷ অনেকেই মনে করেন, ইসলাম ধর্ম অনেক বেশি পুরুষতান্ত্রিক, তাই এর সঙ্গে নারীবাদকে মেলানোর কোনো সুযোগ নেই৷ বিস্তারিত লিখেছেন সালমা খাতাব৷
অনেকের জন্যই ‘ইসলামিক নারীবাদী’ শব্দগুলো বিপরীতার্থক৷ কিন্তু ১৯৯০ সালে যখন ইরানি ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ জিবা মির-হোসেইনি এই উপাধিটি চালু করেন, তখন এটি মূলত ছিল নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরির জন্য৷
যেহেতু জিবার স্বামী বিষয়টি মেনে নিচ্ছিলেন না, জিবা তাঁর স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্সও চাইছিলেন৷ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী আইন নিয়ে পড়াশোনা করার পর তিনি ইসলামের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে দেখছিলেন কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে স্বামীকে ডিভোর্স দেয়া যায়৷ কারণ, ইসলামিক আইনে পরিচালিত বেশিরভাগ দেশে কাজটি কঠিন৷
মাসের পর মাস আদালতে ধর্ণা দিয়ে অবশেষে তিনি স্বামীকে ডিভোর্স দিতে সক্ষম হন৷ তিনি এরপর যুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন এবং ইসলামিক পারিবারিক আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন৷ সেই থেকে তিনি ধর্মীয় নীতি ও আধুনিক জীবন বাস্তবতার সংঘাতের জায়গাগুলোর আইনগত দিকগুলো নিয়ে কাজ করাকেই জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছেন৷
২০০৯ সালে ইসলামিক নারীবাদ নিয়ে মালয়শিয়ায় একটি সম্মেলন হয়৷ ৫০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে চলা এই সম্মেলনটি একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়৷ সম্মেলনটির আয়োজক ছিল ‘মুসাওয়াহ’ বা সমতা নামের একটি আন্দোলন৷ এরা নিজেদের ‘মুসলিম পরিবারে সমতা ও ন্যায়ের বৈশ্বিক আন্দোলন’ নামে পরিচয় দেয়৷