প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কাঁপছে বিশ্ব। চীনের পর বিশ্বের অনেক দেশেই ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ছে এই মরণব্যাধী। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্বের অনেক দেশ। বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্তের রোগী পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বব্যাপী ভয়ঙ্কর উদ্বেগের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, খুব জরুরি প্রয়োজন না হলে এখন কেউ বিদেশ থেকে বাংলাদেশের আসবেন না। কারণ আমরা চাই না আমাদের দেশ কোরনায় আক্রান্ত হোক।
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও চান না তাদের মাধ্যমে দেশের মানুষ কিংবা পরিবারের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হোন। দেশ ও পরিবারের স্বার্থেই এখন বিদেশে গমনাগমন বন্ধ রাখতে হবে।
৩ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগী বাংলাদেশে পাওয়া গেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশের সব জেলায় সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস শনাক্তে পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ১০ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ইরান, সৌদি আরব, বাহরাইনসহ মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলোতে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফলে প্রবাসীরা কেউ যেন এখন দেশে না আসে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
চীনের উহান থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। দেশটিতে ৮০ হাজার ১৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৯৪৩ জনের। অপরদিকে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৬।
নতুন করে বাহরাইন, লাটভিয়া, সৌদি আরব, সেনেগাল এবং মরক্কোতে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর জানা গেছে।