শারমিন সেলিম তুলি। একজন নারী উদ্যোক্তা, সফল ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, সংগঠক এবং লেখক। সফল নারী হিসেবে তার অনবদ্য অবদান তাকে ভিন্নতা দিয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সাফল্যের সাথে কাজ করছেন তিনি। প্রত্যয়দীপ্ত এই নারী স্রোতধারা ফ্যাশন হাউস, বেয়ার বিজ বডি ওয়াক্স এন্ড বিউটি সেলুন এবং বেয়ার বিজ ফিটনেস ক্লাব-এর স্বত্বাধিকারী হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। শারমিন সেলিম ‘মর্ডান লাইফ হাসপাতাল’-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ‘ওকেশানস্’ ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লেখাখেখিতেও সমান পারদর্শী সেলিম শারমিন তুলি।
ইতিমধ্যে তার লেখা ‘রূপচর্চার সাতসতের’ বইটি পাঠকদের সাড়া ফেলেছে। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন তুলি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাস্টার্স শেষ করে বিসিক থেকে টেক্সটাইল, ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স করেন। ভারত থেকেও ফ্যাশন ডিজাইন ও টেক্সটাইলে কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত থেকে হেয়ার, স্কিন ও মেকআপের ওপর কোর্স করেন। বিসিক আয়োজিত উদ্যোক্তা মেলাগুলোতে সবসময় অংশগ্রহণ করেন। সমপ্রতি তিনি নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে ডাচ এফএমও’র অংশীদারিত্বে আমেরিকান ব্যাবসন কলেজের সহযোগিতায় ব্র্যাক ব্যাংকের আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি। বর্তমানে লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ইউটুপিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও মহিলা চেম্বার অব কমার্সের মেম্বার তিনি। যুক্ত হয়েছেন আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে এই সংগঠনের তরফ থেকে ১২ জন সফল নারীকে আলোকিত নারী সম্মাননা প্রদান করা হয়। একইভাবে চলতি বছর সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের আলোকিত ১৭ নারীকে আলোকিত নারী সম্মাননা স্মারক-২০১৯ এ ভূষিত করা হয়। সমাজসেবায় বেশ কিছু পদক পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী অ্যাওয়ার্ড, আমরা কুঁড়ি অ্যাওয়াড ২০১৯’ অন্যতম। এছাড়া ‘উইমেন এন্ট্রারপ্রিনিয়রস অব বাংলাদেশ- উইবিডি’-র উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জননী তিনি।