একদল হিন্দুধর্মগুরুদের মানব ঢালের নিরাপত্তার মাধ্যদিয়ে ভারতীয় মুসলমানরা শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেছেন। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার কয়েকটি জেলায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সশস্ত্র দাঙ্গাকারীরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সমর্থকরা চড়াও হলে এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সূত্রপাত ঘটে।-খবর এএফপির
ভাঙা গ্লাসের টুকরা, পাথর ও ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকা সড়কে আধাসামরিক বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। মুস্তফাবাদের কাছের প্রধান মসজিদটির বাইরে কয়েক ডজন স্বেচ্ছাসেবী দাঁড়িয়েছিলেন। এই এলাকাটিতে দাঙ্গা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল। নামাজের পর মুসল্লিদের দ্রুত চলে যেতে অনুরোধ করছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
মসজিদের পেশ ইমাম বলেন, ‘এটা কঠিন সময়। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ সোমবার হিন্দুত্ববাদী দাঙ্গাকারীদের জ্বালিয়ে দেয়া একটি মসজিদের দিকে যেতে মুসল্লিদের নিষেধ করছিল পুলিশ। কাছেই হিন্দু প্রাধান্য শিব বিহার এলাকার লোকজন মসজিদের দিকের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন।
মসজিদে ঢুকতে চাওয়া মুসল্লিদের দিকে ইঙ্গিত করে তারা বলছিলেন, দাঙ্গাকারীদের আটক না করা পর্যন্ত কাউকে ঢুকে দেয়া হবে না। নতুন কোনো সহিংসতা এড়াতে মুসলমানদের ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে বলেছে পুলিশ। সেলিম মির্জা নামের একজন বলেন, আমরা কোনো সহিংসতা চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। স্বাভাবিক জীবনযাপন ও সন্তানদের জন্য কাজ করতে চাই। আজ সবার শান্তির জন্য আমরা মোনাজাত করেছি।