বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সিরাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। ১০০ টাকা মূল্যমানের ১ হাজার ৫০টি স্বর্ণমুদ্রা এবং একই মূল্যমানের ৫ হাজারটি রৌপ্য মুদ্রা তৈরি করা হচ্ছে। আরও থাকছে ২০০ টাকা মূল্যমানের সাধারণ নোট।’
মুজিববর্ষে উন্নয়নের নয়া মাইলস্টোন ছোঁয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ। পদ্মাসেতু-সহ বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ জোর কদমে চলছে। এরই মধ্যে পদ্মাসেতু প্রায় ৪ হাজার মিটারের মতো অংশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। হাত ধরাধরি করে দ্রুত গতিতে চলছে খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ। মুজিববর্ষে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে হাজারো ঘর। মুজিববর্ষে গুচ্ছ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাজারে আসছে ১০০ টাকা মূল্যমানের সোনা ও রুপোর স্মারক মুদ্রা। পাশাপাশি চালু হচ্ছে ২০০ টাকা মূল্যমানের নিয়মিত নোট।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সিরাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। ১০০ টাকা মূল্যমানের ১ হাজার ৫০টি স্বর্ণমুদ্রা এবং একই মূল্যমানের ৫ হাজারটি রৌপ্য মুদ্রা তৈরি করা হচ্ছে। আরও থাকছে ২০০ টাকা মূল্যমানের সাধারণ নোট।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই বর্ষ উদ্যাপন করা হবে। করাচির জেল থেকে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন বিকেলে তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু নামার পর পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মুজিববর্ষের ক্ষণ গননা শুরু হয়েছে৷
কয়েক বছর আগেই স্বল্পোন্নত দেশের (LDC) গণ্ডী পেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেয়েছে বাংলাদেশ। আর্থিক বৃদ্ধির হারের নিরিখে তারা ভারত, পাকিস্তানের মতো দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের এই মুহূর্তে জিডিপি সর্বোচ্চ। বর্তমানে বাংলাদেশের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বেড়ে ৮.১৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।