আগামী ১৭ মার্চ বাংলাদেশে মুজিববর্ষ উদ্যাপনের সূচনা হবে। তিন দিনের সফরে আগামী ১৬ মার্চ বাংলাদেশে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। আমন্ত্রিতদের তালিকায় আছেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
তিতাস অরণ্য, ঢাকা: বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে সমস্ত ধরনের সহায়তা করেছিল ভারত। এই বন্ধুরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন করা যায় না। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভারতের সঙ্গে ১৯৭১ সালের রক্তের সম্পর্কের বন্ধুত্বকে তাঁর দেশের সরকার কোনও অবস্থাতে বিসর্জন দেবে না বলেও মন্তব্য করেছেন হাসিনা সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। মুজিববর্ষ উদযাপনে বিশেষ আমন্ত্রিতদের তালিকায় আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, আগামী ১৬ মার্চ তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে যেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৮ মার্চ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে থাকবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা আছে মোদীর।
গত শুক্রবার ঢাকায় শহিদ সেলিম-দেলোয়ার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু। দেশটির সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। মুজিববর্ষের উৎসব ভারতকে বাদ দিয়ে করা যায় না।’ CAA ইস্যুতে দিল্লির হিংসাকে ‘ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই বর্ষ উদ্যাপন করা হবে। বাংলাদেশে এখন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। দেশজুড়ে সাজ সাজ রব। বাংলাদেশের মানচিত্র ছাপিয়ে বর্হিবিশ্বেও পালন করা হবে মুজিববর্ষ। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ইউনেস্কোও মুজিববর্ষ পালন করবে।
করাচির জেল থেকে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন বিকেলে তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু নামার পর পূর্ণতা পেয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মুজিববর্ষের ক্ষণ গননা শুরু হয়েছে