সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাইট শিফট এখন অনেক কোম্পানিতেই নিত্য দিনের ব্যাপার। বিশেষ করে সফটওয়্যার কোম্পানিগুলিতে পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনেক কর্মচারীকেই রাত জেগে কাজ করতে হয়। কিন্তু দিনের পর দিন এভাবে কাজ করলে প্রভাব পড়তে পারে আপনার স্বাস্থ্যে। শুধু কি শরীর? রাত জেগে পরিশ্রম আপনার মানসিক সুখের পথেও কাঁটা হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা
বর্তমানে এই সমস্যা অনেকেরই হয়। তার প্রথম এবং প্রধান কারণ রাতে জেগে থাকা। সে আপনি কাজই করুন, আর সিনেমাই দেখুন। ক্ষতি কিন্তু একই। তবে কাজ করলে ক্ষতি একটু বেশি। কারণ সিনেমা দেখলে বা বই পড়লে যে পরিমাণ এনার্জি খরচ হয়, কাজ করলে আরও বেশি এনার্জি খরচ হয়। স্বাভাবিক রুটিন প্রতিনিয়ত ব্যহত হওয়ার জন্য দেহের ‘ন্যাচারাল ক্লক’ও ঠিক থাকে না। ফলে রোগবালাইও বাসা বাঁধে শরীরে। তাই রাতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। নাহলে যে কেরিয়ারের জন্য আপনি রাত জাগছেন, তা অধরাই রয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু প্রবল।
খাদ্যাভ্যাস
রাত জাগলে কোনও মানুষের খাদ্যাভ্যাসও পরিবর্তিত হয়। স্বাস্থ্যের উপর স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাত জেগে কাজ করলেই মুখরোচক খেতে ইচ্ছা করে। কখনও আবার কজের চাপে অনেক দেরি করে ডিনার করা হয়। আর সেটাই শরীরের জন্য খারাপ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাতের খাওয়া জরুরি।
ওজন বৃদ্ধি
অনেকে বলে রাত জাগলে শরীর দুর্বল হয়। ফলে দেহের ওজনও কমে যায়। কিন্তু এই তথ্য আদ্যোপান্ত ভুল। বরং উলটোটাই। রাতে বেশিক্ষণ জেগে কাজ করলে মেদ বৃদ্ধি পায় শরীরে। ফলে বেড়ে যায় ওজন। তার উপর কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম-সহ আরও অনেক সমস্যা দেখা যায়।
দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতি
সবসময় দেহের স্বাভাবিক ছন্দ ঠিক রাখা দরকার। নাহলে এর ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে বা দেরি করে ঘুমোতে গেলে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এইসব রোগ সহজে ছেড়ে যায় না। ফলে ক্রমাগত রাত জাগলে তার ফল ভুগতে হবে আপনাকেই।
সামাজিক জীবন
কাজের চাপ আপনাকে রাতভর জাগিয়ে রাখল। তারপর আপনি দিনের বেলা ঘুমতে গেলেন। এমন কি প্রায়ই হয়? তাহলে আপনার সামাজিক জীবনও সংকটে। রাত জাগে পরিশ্রম করলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি দিনের বেলা ঘুমোবেন। ফলে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ আপনার হাতে প্রায় থাকে না বললেই চলে। বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়জের সঙ্গেও কাটানোর মতো সময় আপনার কাছে থাকে না। এর ফলে মানসিকভাবে ভাল থাকবেন না আপনি।