যার কাছে প্রত্যাশা অনেক, প্রাপ্তিও সীমাহীন। দেশের জন্যে নিবেদিত প্রান প্রাচুর্যে ভরা একজন মানুষ।
মানুষটির সাথে দেখা হলো, চোখে মুখে আন্তরিকতা ঝরে পড়ছে যেনো।একজন দায়িত্বশীল মানুষ সব ক্ষেত্রেই তার সাক্ষর রাখতে সক্ষম। কি পরিবার, কি পারিপার্শ্বিক মানুষ কিম্বা কর্মক্ষেত্র সমান পদচারণা সবখানে।
গরীব আত্মীয় সজনের পাসে দাঁড়ানো কিম্বা বিপদে পড়া কোনো দূরের মানুষ সবার জন্যে তিনি আছেন, সমান ভাবে।
পরিবারের আপনার আপন মানুষটিও যেনো তার প্রতিচ্ছবি। মিরা, অর্ধাঙ্গিনী,অর্ধেক সে আর অর্ধেক এই মানুষটির ভিতবের মানুষ।
‘নারী আসলে যা, তার বদলে যখন সে অন্যকিছুর প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়, তখন তার আকর্ষণ করার শক্তি হাজার গুণ বেড়ে যায়।’’
দুজনে মিলেই আমাদের গর্বের যাইগা সৃজন করছে।আমাদের আশ্রয় কিম্বা নির্ভরতা।
আজ শফিকুল ভাই এর সাথে উনার অফিসে কিছুক্ষনের আলাপ চারিতা। ব্যাস্ততার মাঝে আপন নিলয়ে ফিরে যাওয়া,একেই হয়তো বলে নাড়ির টান।
এনটারপ্রেনারশীপ ডেভেলপমন্ট নিয়ে কাজ করছি জানালাম।বিষয়টিতে উনার আগ্রহ অপরিসীম। ইন্সপাইয়ার্ড হলাম।কাজটির প্রতি আরো বেশি করে দায়িত্বশীল করে তুললো আমাকে।
আগামী ১৭ মার্চ জাতিরজনক বংগবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকীতে আমার মাসিক ইংরেজি ম্যাগাজিন Entrepreneur Bangladesh বাজারের আসছে এই বিষয়ে সারা বাংলাদেশে প্রেসক্লাব গুলোর সাথে ইভেন্ট হবে, জানালাম।খুশী হলেন। অত:পর পারিবারিক আলাপ চারিতা এবং আগামীতে আবার দেখা হবে এই প্রত্যয়ে আপাতত প্রস্থান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া ট্রেডিং থেকে বের হয়ে আসবে দেশ, ঘরে ঘরে গড়ে উঠবে ছোট ছোট উদ্যোক্তা। এক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে এবং শফিক ভাইয়ের মতোন দেশ ও মানুষের জন্যে আন্তরিক মানুষ যেখানে, সেইখানটায় পিছে ফিরে দেখার কোনো অবকাশ নাই।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে এই সুশৃঙ্খল বাহিনী কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে, এরকম একটি আইডিয়া শেয়ার করার প্রয়োজনে, আবার মিলবো কোনো এক শুভক্ষণে,প্রত্যাশা রইলো।
মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার),কমিশনার,ঢাকা মহানগর পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) ১৯৬২ সালের ৩০ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাংগার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে বিএসসি এগ্রিকালচার (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং ৮ ম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে বিভিন্ন জেলা, ইউনিট, রেঞ্জ এবং মহানগর পুলিশে কাজ করেছিলেন।
তাঁর বিশিষ্ট কর্মজীবনে তিনি সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার, পটুয়াখালী জেলা, ৮ম এপিবি (সিলেট), পুলিশ স্টাফ কলেজ, ২ য় এপিবিএন (চট্টগ্রাম), সুনামগঞ্জ জেলা ও কুমিল্লা জেলার দায়িত্ব পালন করেছেন। অতিরিক্ত ডিআইজি হওয়ার কারণে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ডিআইজি হিসাবে তিনি পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিআইজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। অতিরিক্ত আইজির পদে পদোন্নতির পরে তিনি সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের অতিরিক্ত আইজি, পুলিশ সদর দফতরে অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) এবং সিআইডির অতিরিক্ত আইজি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সেপ্টেম্বর ২০১৯-এ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদহ, রাজশাহী থেকে বেসিক প্রশিক্ষণ এবং সাভার, ঢাকার বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি দেশ-বিদেশ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণও পেয়েছিলেন এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশে কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত সাহস, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি তিনবারের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ পদক, বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) পেয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই মেয়ের গর্বিত বাবা।