ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে যখন বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে ঠিক তখনই সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেলে এককভাবে করা সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী চান, দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাক। ট্রাম্পের ভারত সফর শুরুর আগে মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল যে, ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত কিছু ট্রাম্প বলেননি। নাগরিকত্বক আইন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, আমি এ নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। বিষয়টি ভারতের উপরই ছেড়ে দিতে চাই। আশা করি ভারতের মানুষের জন্য তারা সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে। তিনি বলেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আগে কখনও এত ভাল ছিল না।
মঙ্গলবার ভারত সফরের শেষ দিনে ট্রাম্প ও মোদী দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা এবং নেশা-মাদকতা বিষয়ক সন্ত্রাস, মাদক পাচার জাতীয় অপরাধ প্রতিরোধ করা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
সন্ত্রাসবাদ ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একজোট হয়ে লড়াই করবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, শক্তিক্ষেত্রে কৌশলগত সহযোগিতা, তথ্যপ্রযুক্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের মতো সব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
ট্রাম্প বলেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতাবস্থা নিয়েও মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে সামরিক অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প ও ভারতের মোদি। ৩০০ কোটি ডলারের এই চুক্তি দু’দেশের জন্যেই ফলদায়ক হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এই চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসবে অত্যাধুনিক মার্কিন সি-হক হেলিকপ্টার। যা শুধু শত্রু দেশের বিমান বা জাহাজকেই নয়, জলের তলায় লুকিয়ে থাকা ডুবোজাহাজের হদিশ পেয়ে সেটাও গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের মধ্যে অ্যাপাচি ও এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টার কেনা-বেচার চুক্তি হয়েছে। এই হেলিকপ্টারগুলি বিশ্বের মধ্যে উন্নততম।
সোমবার ৩৬ ঘণ্টার সফরে ভারত এসেছিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতেই তার ওয়াশিংটনে ফিরে যাবার কথা।