বাংলাদেশে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। তবে এখন এক ধরনের ‘গুচ্ছ’ পদ্ধতির পরীক্ষার কথা বলছে কমিশন। এক সংবাদ সম্মেলনে আজ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
‘গুচ্ছ’ পরীক্ষার পদ্ধতি কেমন হবে?
আজকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে বৈঠকে বসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে চারটি ‘গুচ্ছ’পরীক্ষা নেয়ার।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এটা হচ্ছে যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সেগুলো একসাথে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। কৃষি, সাধারণ এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তারাও এরকম একসাথে নেবে। এইভাবে চারটি গুচ্ছ পরীক্ষা হবে। এই চারটা ভাগের মধ্যে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও সামাজিক বিজ্ঞান এগুলোর জন্য তিনটি পরীক্ষা হবে।”
মার্চে পূর্ণ চিত্র পাওয়া যাবে
বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, প্রকৌশল ও সাধারণ শিক্ষার জন্য সবমিলিয়ে ৪৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলছেন, এখন ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
একবার অকৃতকার্য হলে একের অধিক বছর ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যাবে কিনা সে বিষয়সহ গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া যাবে মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে।
সেজন্য একটি কমিটি সকল ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে আলাদাভাবে বসবে। অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলছেন, “যে গ্রুপে যে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তারাই সবকিছু ঠিক করবে। প্রশ্নপত্রও তারাই ঠিক করবে। সেখানে তাদের মধ্যে থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দেবে।”
তিনি বলছেন, “দেশে কত শিক্ষার্থী তার উপর নির্ভর করে কোথায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, কার কোথায় সিট পরবে সেগুলোও নির্দিষ্ট গ্রুপই ঠিক করবে। যেমন ধরুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেরকম, তারা হয়ত তাদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেবে।”