আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে ন্যায়বিচার চাইতে সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী আমাল ক্লুনিকে নিয়োগ করেছে মালদ্বীপ।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার জন্য মালদ্বীপের প্রতিনিধিত্ব করবেন মিস ক্লুনি।
মালদ্বীপ সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবে মালদ্বীপ।
রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার এবং রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা চেয়ে গত নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া।
জাতিসংঘের আদালত রায় দিয়েছে যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর লাগাম টেনে ধরতে হবে।
আদালত বলেছে, সেনাবাহিনী কিংবা অন্য যে কোন ধরণের নিরাপত্তা বাহিনী যাতে গণহত্যা না চালায় কিংবা উস্কানি না দেয় সেজন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মিস ক্লুনি এর আগে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের পক্ষে জাতিসংঘে আইনী লড়াই করেছেন।
সেখানে তিনি মি: নাশিদের পক্ষে জয়লাভ করেছেন। ২০১৫ সালে মোহাম্মদ নাশিদকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে জাতিসংঘ বলেছিল যে সে কারাদণ্ড অবৈধ।
২০১৮ সালে মালদ্বীপের শাসক আবদুল্লাহ ইয়ামিনের পতনের পর মোহাম্মদ নাশিদ এবং আরো কিছু ভিন্নমতাবলম্বীকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
মি: নাশিদ বর্তমানে মালদ্বীপ জাতীয় সংসদের স্পিকার।
জাতিসংঘের আদালত রোহিঙ্গাদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে সেটিকে স্বাগত জানিয়েছে মালদ্বীপ সরকার।
মিস ক্লুনিকে উদ্ধৃত করে মালদ্বীপ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মিয়ানমারে সংগঠিত গণহত্যার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এখনো অনেক পথ বাকি। আদালতের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায় বিচারের জন্য চেষ্টা করবো।”