পেট্রোল উৎপাদন করে না বাংলাদেশ। অপরিশোধিত আকারে আমদানি করে স্থানীয়ভাবে পরিশোধন করা হয়। কিন্তু পেট্রোল বাংলাদেশ নিজস্বভাবেই উৎপাদন করে। দেশের পুরো চাহিদা স্থানীয়ভাবেই পূরণ করা হয়। কী করে তা সম্ভব হচ্ছে?
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আমদানিকৃত মোগ্যাস ও ইআরএলের ন্যাপথা ব্লেন্ডিং করে পেট্রোল তৈরি করা হয় এবং এতেই দেশের চাহিদা পূরণ করা হয়। দেশের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে কোনো পেট্রোল আমদানি করা হয় না। ২০১৯-এর জুলাই হতে সিএনজির মূল্য বাড়ানো হয়। সিএনজির মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অকটেনের চাহিদাও বেড়েছে। অকটেন অর্থাৎ মোগ্যাস ও ইআরএলের ন্যাফথার সংমিশ্রণে স্থানীয়ভাবেই পেট্রোল তৈরি করা হয়। এতে উৎপাদন খরচ পড়ে প্রায় অর্ধেক। পেট্রোল উৎপাদনের জন্য দেশে প্রায় ২ লাখ মে. টন মোগ্যাস (অকটেন) আমদানি করতে হয়। এর অর্ধেক আনা হয় মোগ্যাস উৎপাদনকারী দেশ থেকে সরাসরি জি-টু-জি ভিত্তিতে। অবশিষ্ট অর্ধেক বেসরকারি খাতের আমদানিকারকদের মাধ্যমে আনা হয়। প্রতি ব্যারেলে দাম পড়ে ৫ মার্কিন ডলার থেকে ৬ মার্কিন ডলার। জি-টু-জি ভিত্তিতে আমদানির ক্ষেত্রে দাম পড়ে তুলনামূলক কম। দুই লাখ মে. টন অকটেন আমদানিতে ব্যয় হয় ১ হাজার কোটি টাকা। সরাসরি পেট্রোল আকারে আমদানি করা হলে খরচ পড়ত দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর যাবৎ স্থানীয়ভাবে পেট্রোলের চাহিদা বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ বর্ধিত চাহিদা মেটাতে পেট্রোল উৎপাদনের কাঁচামাল অর্থাৎ মোগ্যাস বা অকটেন আমদানির পরিমাণও বেড়েছে। এ বছর প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মে. টন অকটেন অতিরিক্ত আমদানি করতে হচ্ছে।