জনশক্তি ও কর্মসংস্থান, দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিনিয়োগ ও শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতসহ ধর্মবিষয়ক খাতে সৌদি আরবের বড় বিনিয়োগ আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের (জেসি) ১৩তম সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ, সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাহির আবদুল রাহমান গাসিম, আরামকোর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জুলিও সি হেজেলমেয়ার মোসেস প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যত দিন যাচ্ছে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শক্তিশালী হচ্ছে। আরামকো বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করবে। বিনিয়োগের পরিমাণ এখনই বলা যাবে না। অনেক বিষয়ে চুক্তিও হয়ে গেছে।
দক্ষ জনশক্তি সৌদি আরবে পাঠানো প্রসেঙ্গ আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ায় দক্ষ জনশক্তি পাঠাচ্ছে। একইভাবে সৌদি আরবেও দক্ষ জনশক্তি পাঠানো হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটি অনেক দিনের। যার পেছনে রয়েছে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। বাংলাদেশ এখন বন্ধুত্বের উর্ধ্বে টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর অংশীদারিত্বকে ধরে রাখার দিকে নজর দিচ্ছে। বাংলাদেশ তার দ্বিপক্ষীয় বন্ধুদেশ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অব্যাহত ও বর্ধিত সমর্থন প্রত্যাশা করছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ। পক্ষান্তরে সৌদি আরবের ৪০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সৌদি আরবের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাহির আবদুল রাহমান গাসিম।
জনশক্তি, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ধর্মীয় বিষয়, পর্যটন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃষি ও ফিশারি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ১৩তম যৌথ কমিশনের সভার এজেন্ডা।