২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রকল্পে সার্বিক গড় অগ্রগতি ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ স্টেশনবিশিষ্ট আধুনিক এ মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম।
ওবায়দুল কাদের জানান, আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরী ও তত্সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) আওতায় ছয়টি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেলের সমন্বয়ে মোট ১২৮ দশমিক ৭৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসেতু নির্মাণের কর্মপরিকল্পনা-২০৩০ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনা অনুসরণে প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপোতে ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরই মধ্যে ৯ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য বেনজির আহমেদের প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, আরিচা-পাটুরিয়া অংশে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ সেতু নির্মাণে পিডিপিপি নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৮ সালের ৩০ মে অনুষ্ঠিত প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা যেতে পারে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।