ফরহাদ হোসেন, শিক্ষিত একজন মার্জিত রুচিশীল মানুষ।অনেকদিন পর ফোনালাপ তার পর মুখোমুখি কথোপকথন।
বললাম, আসতে চাই, সাথে সাথে উত্তর টুটুল ভাই চলে আসেন,কথায় আন্তরিকতা ঝরে পড়লো একরাশ।
তারপর সচিবালয়ে মন্ত্রীমহোদের অফিস। আগে থেকে বলাই ছিলো, সরাসরি উনার টেবিলে।সাথে আমার মিসেস।
বললাম, এনটারপ্রেনারশীপ ডেভেলমেন্ট নিয়ে কাজ করছি, সহযোগিতা লাগবে, উনি খুব আগ্রহ নিয়ে আমার আইডিয়াগুলো শুনলেন এবং সার্বিক ভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন।তিনি বললেন দেশের উন্নতির প্রশ্নে আমাদের উদ্যোগতা সৃষ্টি করতে হবে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীএটি মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন।কাজ করে যান, আছি আপনার সাথে।
ফরহাদ হোসেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ঐতিহাসিক মেহেরপুর-মুজিবনগর এলাকা থেকে মন্ত্রিসভয় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) জনাব ফরহাদ হোসেন ৩০ শে ডিসেম্ব জন প্রশাসন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেন। তিনি সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন এর আগে ঢাকা সিটি কলেজের। আওয়ামিলীগের একটি পরিক্ষীত এবং সমৃদ্ধশালী পরিবারে তার বেড়ে উঠা।
তাঁর পিতা সহিউদ্দিন বিশ্বাস ১৯৭০, ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে উক্ত আসন হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত রাজনৈতিক কর্মী মোহাম্মদ সাহিউদ্দীন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মেহেরপুরের মুজিবনগরের প্রথম শপথ অনুষ্ঠানের সংগঠক ছিলেন।
ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি মেহেরপুর জেলা শাখা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এর আগেও মেহেরপুর -১ (মেহেরপুর-মুজিবনগর) এর দশম ও একাদশ সংসদীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দশম সংসদের অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং অর্থ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উপ-কমিটির সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য ছিলেন।