এবার বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক এমপি’র সাফল্যের মুকুটে আরো একটি নতুন পালক যুক্ত হলো। তিনি ব্রিটেনের ছায়া উপমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিরোধীদল লেবার পার্টির ছায়ামন্ত্রিসভায় তিনি শ্যাডো আর্লি ইয়ার্স মিনিস্টার নিযুক্ত হন।
ব্রিটেনজুড়ে যে পাঁচ-ছয়টি আসনে জয়-পরাজয় নিয়ে ভোটার ও ব্রিটিশ গণমাধ্যমের উন্মুখ দৃষ্টি থাকে, তার মধ্যে হ্যামস্টড ও কিলবার্ন আসন একটি। নব্বইয়ের দশক থেকে এই আসনটি ব্রিটেনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে।
ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের ফেলো টিউলিপ রেজোয়ানা সিদ্দিক ২০১৫ সালে এই আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট পান তিনি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন।
ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শফিক সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে টিউলিপ দ্বিতীয়। লন্ডনে জন্ম নেওয়া এই ব্রিটিশ বাংলাদেশি ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে টিউলিপ ক্যামডেনের কাউন্সিলর ছিলেন। ওই কাউন্সিলে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলর।
যুক্তরাজ্যের যে কয়টি আসনের ফল নিয়ে ভোটার ও সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ থাকে তার মধ্যে অন্যতম লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্ন। নব্বইয়ের দশক থেকেই এটি ব্রিটেনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। দু’দফায় এমপি নির্বাচিত হবার পর ব্রিটেনের নানা রাজনৈতিক ইস্যুতে পার্লামেন্টের ভেতরে বাইরে রীতিমত ঝড় তুলতে সক্ষম হন টিউলিপ।