১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম ক্রিকেটের কোন বিশ্ব টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ। যে কোন স্তরের ক্রিকেটে কোন বিশ্বকাপ জেতা বাংলাদেশের জন্যে এটাই প্রথম।
আজ রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে করেছিল ১৭৭ রান।
বাংলাদেশ ১৭৮ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামলেও বৃষ্টির জন্য খেলায় বিঘ্ন ঘটায় ডার্কওয়ার্থ লুইস নিয়মে বাংলাদেশের জন্য সংশোধিত টার্গেট ঠিক করা হয় ১৭০ রান।
খেলার ২৩ বল বাকী থাকতেই বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। আকবর আলি করেন ৪৩ রান। তিনি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন।
খেলার শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপের মুখে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম হাসান সাকিবের বোলিং এর মুখে খুব সুবিধে করতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
৪৭ দশমিক ২ ওভারেই ভারতকে মাঠ ছাড়তে হয় ১৭৭ রানের সংগ্রহ নিয়ে।
মাঠে বসে খেলা দেখেছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিক এহতেশাম সবুজ।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় সাফল্য। এর আগে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফির জয়ের সাফল্যকেও ছাড়িয়ে গেছে এবারের জয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যালে বেশ দুর্দান্তভাবেই শুরু করেছিল, বাংলাদেশের বোলাররা হান্ড্রেড পার্সেন্ট ডমিনেট করে খেলেছে। তবে ব্যাটিং এ বাংলাদেশের কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছিল যখন ৪টি উইকেট পড়ে যায়।
এহতেশাম সবুজ বলেন, বাংলাদেশের অনুর্ধ ১৯ দলকে ‘সোনালি প্রজন্ম’ বলে বর্ণনা করা হয়। এদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছে এখন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এই দলটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের ডিটারিমিনেশন- তারা সবসময় লক্ষ্যে অবিচল ছিল। চারটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও মনোবল ধরে রাখা সহজ নয়।
“এরকম পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলও বেরিয়ে আসতে পারেনি। কিন্তু এখানে বলতেই হবে অধিনায়ক আকবর আলি দুর্দান্ত পরিকল্পনা এবং কৌশল দেখিয়েছেন। আরও ব্যাটিং এর ক্ষেত্রেও তিনি পুরো দায়িত্ব নিয়ে একাই খেলে গেছেন।”