এক শান্ত ভারতীয় ছেলে ছিল। সে আফরিকায় গেছিলো জীবিকার তাগিদে। নতুন জায়গা। একদিন ভুলকরে ট্রেনের ভুল কামরায় উঠে পারে। ওই কামরাটা ছিলো শুধু মাত্র সাদা চামড়ার মানুষদের জন্য সংরক্ষিত। তাই এক ইংরেজ পুলিশ তাকে বেধরক মারে। শান্ত ছেলেটার কালো চামড়া রক্তে ভিজে লাল হয়ে গেছিলো। তবুও শান্ত ছেলেটা শান্তই রইলো।
ইংরেজ ব্লুব্লাড, আজও নির্জনে বসে কপাল চাপড়ায়। কেন সেদিন ওই এক সাধারণ পুলিশ কর্মচারী, সামান্য একটা ঘটনার জন্য ওই শান্ত ছেলেটাকে মারতে গেলো। গবেট রকচটা পুলিশটা একটু শান্ত থাকতেও তো পারতো।
ওই শান্ত ছেলেটা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভীত নাড়িয়ে দিলো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের। একটা খন্ডভূমি সম্বল করে আজ টিকে আছে ব্রিটিশ আত্মঅভিমান। একদিন যাদের সাম্রাজ্যের সূর্যাস্ত হতো না।
কে ওই শান্ত ছেলেটা? নিশ্চই নাম বলতে হবে না
হ্যা, গান্ধী। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। এক শান্ত ছেলে। বর্তমান প্রজন্ম যাকে অনেকসময় খুব উগ্র ভাবে তাচ্ছিল্য করে। হ্যা আমিও হয়তো কখনো কখনো বলি। কিন্তু ভারতীয় সংসদ ভবনের সামনে শান্ত হয়ে বসে থাকা বাপু শান্ত হয়েই থাকেন।
বিশ্বের সর্বকালের সবথেকে শান্ত ছেলে, মহাত্মা গান্ধী কোনো নাম নয়। মহাত্মা গান্ধী একটা খুব সাধারন শান্ত ছেলের শান্ত হয়ে থেকে পৃথিবীকে নতুন করে চিন্তা করার এক প্রশ্নবোধক চিন্হ। আর এই প্রশ্নবোধক চিন্হটার অস্তিত্ব তিনটে বুলেটেও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেনি।