বাংলাদেশে দ্রুত বিকাশ লাভ করছে ডিজিটাল অর্থনীতি। দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এটিই ডিজিটাল অর্থনীতির সবেচেয়ে সম্ভাবনাময় দিক। এই ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুসংহত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য-এমন আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টস মন্ত্রী ম্যাট ওয়্যারম্যান। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে এক বৈঠকে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে এমন প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতির ৩টি এজেন্ডা গ্রহণ করেছে। এগুলো হলো প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, দেশের সব নাগরিককে ব্রডব্যান্ড সংযোগের আওতায় নিয়ে আসা এবং ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলা। মোবাইল ব্যাংকিং থেকে ডিজিটাল ওয়ালেটে রূপান্তরের কাজও শেষ পর্যায়ে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের নারীরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে দারুণ। তরুণ্য শক্তিই এই ডিজিটাল অর্থনীতির সবচেয়ে বড় শক্তি। বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম বাংলাদেশকে কীভাবে দেখছে সে বিষয়টি ম্যাটের দৃষ্টিতে আনা হয়। তাকে জানানো হয়, অনলাইন শ্রমশক্তির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সাশ্রয়ী শ্রমবাজার এবং মূলধন ঝুঁকি এড়াতে যুক্তরাজ্যের আইটি কোম্পানিগুলোও বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে।
বৈশ্বিক বিভিন্ন অর্জন ও উপাত্ত তুলে ধরে বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একসময় কৃষির অবদান ছিলো ৮০ শতাংশ। এখন দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান মাত্র ১৯ শতাংশ। তারপরও বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তর হয়েছে। মেধা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে খাদ্য উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। আবার উৎপাদিত কৃষি পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছতে এখন ব্যাপকভাবে ডিজিটাল মাধ্যম, মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমেও হাজার হাজার তরুণ খুঁজে নিয়েছে নিজেদের কর্মসংস্থান।
বৈঠকে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে অভাবনীয় বলে মন্তব্য করেন ম্যাট ওয়্যারম্যান।