খেতে খুবই ভালোবাসেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বিশেষ করে ভারতীয় খাবারে রয়েছে তার বিশেষ দুর্বলতা। আর উৎসবের সময়গুলোতে তো কথাই নেই। পূজা, ক্রিস্টমাসের সময়ে বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে পরের কয়েক মাস শরীরচর্চাতেও সময় দিতে হয় বেশি। তবে সব মিলিয়ে ফিটনেস ধরে রেখেছেন ষোলোআনা। জেনে নিন প্রিয়াঙ্কার ডায়েট সম্পর্কে।
সকালের নাস্তা
খুব সকালে উঠতে বেশ আপত্তি প্রিয়াঙ্কার। ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি খান তিনি। এর কিছুক্ষণ পর অমলেট ও অ্যাভোকাডো টোস্ট দিয়ে সেরে নেন নাস্তা। তবে নিজের বাড়িতে থাকলে এসব বাদ দিয়ে ভারতীয় খাবারেই পেট ভরান। তখন দোসা ও পরোটার মতো খাবার থাকে মেন্যুতে।
দুপুরের খাবার
দেশি খাবার সবসময়ই পছন্দ ‘দেশি গার্ল’ খ্যাত এই অভিনেত্রীর। নিজের বাড়িতে থাকতে তাই কোনও কিছু চিন্তা না করে দেশি খাবারেই মজেন। তবে অন্যান্য সময় সবজি ও মাছ ভাজা দিয়েই সেরে নেন দুপুরের খাবার। খাবারের সঙ্গে দই, আচার এবং তাজা ফল ও সবজির সালাদ অবশ্যই থাকে। শুটিংয়ে বেশি রুম ব্যস্ত থাকলে কেবল ভেজিটেবল সালাদ দিয়েই শেষ করেন লাঞ্চ। প্রতিদিনের খাবার বানিয়ে দেন প্রিয়াঙ্কার তার ব্যক্তিগত শেফ।
স্ন্যাকস
ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মাঝামাঝি সময়ে কিংবা বিকেলে স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খান প্রিয়াঙ্কা।
রাতের খাবার
রাতে একেবারেই হালকা খাবার খান প্রিয়াঙ্কা। মাঝেমাঝেই কেবল এক বাটি স্যুপে ডিনার শেষ করেন। কখনও আবার দুপুরের খাবার থেকে বেঁচে যাওয়া হালকা কিছু খেয়েই কাটিয়ে দেন রাত।
শরীরচর্চা
ভালো খাবার খাও আর ক্যালোরি বার্ন করো! ফিট ও সুস্থ থাকতে এই মন্ত্রেই চলেন প্রিয়াঙ্কা। সকালে একজন ব্যক্তিগত শিক্ষকের সহায়তায় শরীরচর্চা করেন তিনি। কার্ডিও ও ওয়েট ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি দড়িলাফে খরচ করেন শরীরের বাড়তি ক্যালোরি। ‘স্কুলে থাকলে দড়িলাফে বেশ পটু ছিলাম। এখন এটাকে বেশ কাজে লাগাচ্ছি। তাছাড়া দড়ি যেহেতু ব্যাগেও বহন করা যায়, অবসরে খানিকটা প্র্যাকটিস করে ফেলি’- বলেন প্রিয়াঙ্কা।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া