নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সৌদি আরবের রাজপথে এখন নারী গাড়ি চালকের দেখা মেলে নিয়মিত। তবে নারী মোটরসাইকেল চালক এখনও বিরল। তবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানকার রাস্তায় নামতে ইতোমধ্যেই ৪৩ নারী প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছে। অচিরেই তাদের সৌদির রাজপথে দেখা যাবে।
সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দায়িত্ব নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে নানামুখী সংস্কার-কার্যক্রম হাতে নেন। এরমধ্যে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এক ডিক্রিতে নারীদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতি দেন। পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের ২৪ জুন থেকে গাড়ি চালানো শুরু করেন তারা।
আরব নিউজ বলছে, এবার মোটরসাইকেল চালাতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সৌদি নারীরা। রিয়াদে বাইকারস স্কিল ইন্সটিটিউট নামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাচ্ছেন ইউক্রেনের নাগরিক ইলেনা বুকারিয়েভা। বর্তমানে সৌদি আরবের একমাত্র নারী প্রশিক্ষক তিনি।
সৌদি আরবে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও মোটরসাইকেল চালানো শেখাচ্ছে বাইকারস স্কিল ইন্সটিটিউট। প্রাথমিক এবং পেশাদার চালকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা কোর্সগুলোতে চালকদের নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইলেনা বুকারিয়েভা বলেন, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ৪৩ জন নারী প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছে। এদের মধ্যে প্রায় ২০ জন সৌদি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে সৌদি আরবে বসবাসরত মিসর, লেবানন ও ইউরোপীয় নাগরিকেরা রয়েছে।
বুকারিয়েভা বলেন, প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে মূলত ছোট আকারের মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। তবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর শিক্ষানবিশরা সকল ধরনের বাইক চালাতে পারবেন। কোনও ব্যক্তির প্রশিক্ষণ নিতে কত মাস লাগে তার ওপর নির্ভর করে কোর্স ঠিক করা হয়। তিনি বলেন, পুরুষ চালকরা নারীদের অনেক সাহায্য করে।
বুকারিয়েভা জানান এখন পর্যন্ত ট্রাফিক বিভাগ কোনও নারী মোটরসাইকেল চালকের লাইসেন্স ইস্যু করেনি। তিনি বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া অন্তর্ভুক্ত নয়। কিছু কিছু আগ্রহী প্রশিক্ষণার্থী লাইসেন্সের জন্য বাহরাইনের মতো প্রতিবেশি দেশে যাচ্ছে।’