২৭ অক্টোবর, ২০২১ ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাশিয়া ভ্রমণের ৯১তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি গৌরবময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউসের পরিচালক জনাব ম্যাক্সিম দোব্রোখোতভ তার স্বাগত বক্তব্যে স্মরণ করিয়ে বলেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইউএসএসআর সফর সম্ভব হয়েছিল অল-ইউনিয়ন সোসাইটি ফর কালচারাল রিলেশনস উইথ অ্যাব্রোড (AUSCR) এর প্রচেষ্টার জন্য, যার আইনি উত্তরসূরি- ROSSOTRUDNICHESTVO। তিনি আরো বলেন যে, সোভিয়েত রাশিয়ায় তার অবস্থানের ছাপগুলি “রাশিয়ার চিঠি” তে প্রতিফলিত হয়েছিল, যেখানে তিনি নতুন তরুণ রাষ্ট্রের অর্জনগুলি বর্ণনা করেছিলেন। এম. দোব্রোখোতভ উল্লেখ করে বলেন প্রথম সোভিয়েত কমিসার (মন্ত্রী) শিক্ষা এ. ভি. লুনাচারস্কি, যিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এল.এন. টলস্টয়ের সাথে তুলনা করে উল্লেখ করেছেন যে “তাঁর কাজগুলি এতটাই বর্ণিল, সূক্ষ্ম আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা এবং সত্যিকারের মহৎ ধারণায় পরিপূর্ণ যে তারা এখন মানব সংস্কৃতির একটি সম্পদ”।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান ও মুক্তিযুদ্ধ একাডেমী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড.আবুল আজাদ। তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “রাশিয়ার চিঠি” উদ্ধৃত করে বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বের অনেক দেশে ভ্রমণ করেছিলেন, তবে তাঁর রাশিয়া সফর তাঁর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সোভিয়েত জনগণের কাছে একজন মহান লেখক, ঔপনিবেশিক নিপীড়ন ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে একজন অক্লান্ত যোদ্ধা এবং জাতীয় ঐক্য ও শান্তির প্রবল প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এই সফর রাশিয়া ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অগ্রদূত হয়ে উঠেছে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের পর ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহান সাহিত্যকর্ম সম্পর্কিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাশিয়ায় তাঁর ভ্রমণের সময়কার কিছু তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী।