নতুন আইনটির খসড়া অনুমোদন করে মতামত চেয়ে পনের কার্যদিবস সময় দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে দিয়েছে সরকার।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বিবিসিকে বলছেন, এটি মূলত ক্ষুদ্র আমানতকারীদের জন্য উপকার হবে।
“ক্ষুদ্র আমানতকারীরা এ থেকে লাভবান হবেন। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেলেও তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য ইন্সুরেন্স তহবিল থেকে তাদের সহায়তার জন্য আইনটি করা হচ্ছে”।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশে এখন ব্যাংক আমানত বীমা আইন হিসেবে যেটি আছে সেখানে শুধু ‘ব্যাংক’ অন্তর্ভুক্ত ছিলো কিন্তু এ নতুন আইনে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন আইনটি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়ে পাশ হলে এর আওতায় আমানত সুরক্ষা ট্রাস্ট তহবিল গঠন করা হবে।
একই সাথে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত সুরক্ষার বিপরীতে বীমা প্রিমিয়াম দিতে পরপর দুবার ব্যর্থ হলে সেই প্রতিষ্ঠানকে অবসায়নে বা বন্ধ করার ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে।
যদি কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত বা দেউলিয়া হয়ে পড়ে তাহলে ওই তহবিল থেকে আমানতকারীর পাওনা পরিশোধ করা যাবে।
আইনটিতে বলা হয়েছে, “কোন বীমাকৃত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর অবসায়নের আদেশ দেয়া হলে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ওই অবসায়িত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমানতকারীকে তার বীমাকৃত আমানতের সমপরিমাণ টাকা, যা সর্বাধিক এক লাখ টাকা বা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত টাকার বেশি হবেনা, তহবিল হতে প্রদান করবে”।