জিম্বাবুয়ে একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখালেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে বল হাতে জ্বলে উঠলেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজও। হারারেতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ব্যাট-বলে ভালোই প্রস্তুতি সারলো সফরকারী বাংলাদেশ। রোববার দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ হয় ড্রতে।
হারারের তাকাসিনহা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শনিবার প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন টাইগাররা আর ব্যাটিংয়ে নামেনি, ইনিংসের ঘোষণা দেয়। জবাবে ২০২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে একাদশ। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে কাটায় ৭৪.৫ ওভারে। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ২২ রানে দিনের কেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
১৮ রানে তামিম ইকবাল ও ৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাদমান ইসলাম।
রোববার ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। ইনিংসের মাত্র চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৩ রানে ওপেনার মিল্টন শুসভাকে সাজঘরে ফেরান তরুণ টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। প্রথম সেশনে ৩ উইকেট ও দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট হারানো দলটি শেষ সেশনেও বলার মত লড়াই করতে পারেনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর টিমিসেন মারুমার, ১৩৩ বলের মোকাবেলায় ৫৮ রান করেন তিনি। এছাড়া তাকুজোয়া কাইতানো ৩২ ও ওয়েসলে মাধেভেরে ২৮ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান নেন তিনটি করে উইকেট। পেসার শরিফুল ইসলাম দুটি এবং তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেন একটি করে উইকেট নেন। সাকিব তিনটি উইকেটই নিয়েছেন ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে। ১২.৫ ওভারের স্পেলে সাকিব খরচ করেন মাত্র ৩৪ রান।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক হাঁকান সাকিব আল হাসান, সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করা সাকিব ৫৬ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। সাইফ ৬৫ ও শান্ত ৫২ রানের ইনিংস সাজান। তিনজনই স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে মাঠ ছাড়েন। মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে। আর স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আগে লিটন কুমার দাস করেন ৩৭ রান। ইনিংসে উইকেট হারান শুধু অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ওপেনার সাদমান ইসলাম। টেস্টসুলভ ব্যাটিং অধিনায়ক মুমিনুল ৩১ রান করেন ৮৪ বল খেলে। আর ৩০ বল মোকাবিলা করে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট খোয়ান সাদমান।