গতকাল ৩০ জুন ২০২১ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা ২০২১ চূড়ান্তকরণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন ডব্লিওটিও সেল এর ডিজি জনাব হাফিজুর রহমান। উক্ত আলোচনায় ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব এর সম্মানিত প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার, ই-ক্যাব সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এবং ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম শোভন।
সভায় ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, “এসওপি বাস্তবায়ন হলে এই মুহুর্তে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। তবে চূড়ান্তভাবে ফল পেতে হলে এটিকে আইনে পরিণত করতে হবে। এছাড়া আমরা চেষ্টা করবে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো যেন মেনে চলে সেদিকে নজর রাখতে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে সরকারী সংস্থাগুলো আশাকরি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।”
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, “আশা করি SOP চূড়ান্ত হলে ই-কমার্সের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে কয়েকবছর আগে এটি করার প্রস্তাব দিলেও, দীর্ঘ একবছর যাবত এটি চূড়ান্ত করার জন্য আমরা তাগিদ দিয়ে আসছি। আজ চূড়ান্তকরণ সভা হয়েছে। আমাদের বেশীরভাগ মত রাখা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত এটি প্রকাশ করবে সরকার।”
এছাড়াও ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে পণ্য ডেলিভারী সময় নির্দিষ্টকরণ, রিফান্ড পলিসি বাংলায় ও ইংরেজীতে উল্লেখ নিশ্চিত করা, ট্রেড লাইসেন্স বিকল্প হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোক্তা নিবন্ধন, সরবরাহকারী পাওনা পরিশোধের সময় নির্ধারণ, মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম-বিধান, মূল্যফেরত নীতি ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করা হয়।
সভা চালাকালীন সময়ে পরে লকডাউন অবস্থায় ই-কমার্স সেক্টরের পরিসেবা চালু রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে আপাতত মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুসারে নতুন কোনো ঘোষণা আসলে তা জানানো হবে।
২০১৭ সালে এই নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব দেয় ই-ক্যাব। তারই আলোকে ২০১৮ সালের ডিজিটাল কমার্স পলিসিতে এটি যুক্ত করা হয়। বিগত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন প্রাইভেট সেক্টর ডেভলপমেন্ট কমিটির সভায় এটি প্রণয়নের তাগিদ দেয়া হয়। ২০২০ সালে নভেম্বর মাসে এই বিষয়ে একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চলতি বছর এপ্রিল মাসে এই নির্দেশিকা সর্বপ্রথম সরকারী সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানসমূহের মতামতের জন্য প্রেরণ করা হয়। গত ২০ মার্চ ই-ক্যাব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর একটি পর্যালোচনা সভা আয়োজন করে। ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানের মতামতের জন্য খসড়া নির্দেশিকা প্রেরণ করে। ২৭ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২য় দফা খসড়া প্রণয়ন করে এবং তা সরকারী দপ্তর ও বেসরকারী সংস্থাসমূহের মতামতের জন্য প্রেরণ করে। ই-ক্যাব এ বিষয়ে গত ২৮ জুন বিশেষজ্ঞ এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আবারো আলোচনা করে। সর্বশেষ গত ২৯ জুন তৃতীয় খসড়ার উপর লিখিত মতামত পেশ করে এবং আজকের সভায় ই-ক্যাবের মতামত সমূহের ব্যাখ্যা পেশ করা হয়।