নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
‘‘আগামীর সময়টা হবে সম্পূর্ণরুপে ডিজিটাল কমার্স এর সময়। এমন এক সময় আসবে ডিজিটাল কমার্স ছাড়া কোনো ব্যবসায় থাকবেনা। সব ব্যবসায়ই ডিজিটাল ব্যবসায় রুপান্তর হবে। যেমন করে সকল ব্যাংক আজ ডিজিটাল ব্যাংক হয়েছে ও সকল মূদ্রণ ডিজিটাল মূদ্রন হয়েছে। তাই আজকের তরুনদেরকে ডিজিটাল যুগের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও নিতে হবে।’’
৯ মে ২০২১ বিকেল ৩টায় জুম অনলাইনে দেশব্যাপী ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে ডাক বিভাগের উদ্যোক্তাদের সাথে ই-ক্যাবের বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলি যোগাযোযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। কিভাবে ডাক বিভাগের সাড়ে ৮ হাজার উদ্যোক্তা ই-ক্যাবের সাথে ডিজিটাল কমার্স সেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে সে বিষয়ে অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়।
এই বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের মহাপরিচালক জনাব মোঃ সিরাজ উদ্দীন, ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী জনাব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইর এর ই-কমার্স প্রধান জনাব রেজওয়ানুল হক জামি, সভাপতিত্ব করেন ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহাব উদ্দীন শিপন, বক্তব্য রাখেন ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম হারুন অর রশিদ, ডেপুটি পোস্ট মাষ্টার জেনারেল জনাব মোহাম্মদ শাহ আলম, ই-ক্যাবের অপারেশন ম্যানেজার শাওনসাহা জয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম শোভন।
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, বর্তমানে ৭৫০টির মতো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ই-কমার্স পণ্য ডেলিভারী হচ্ছে। ডাক বিভাগের সক্ষমতা ব্যবহার করে এই সেবা লাস্ট মাইল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে ই-ক্যাব। এর পাশাপাশি ডাক বিভাগের উদ্যোক্তাদের দক্ষতাবৃদ্ধি এবং তাদের মজুবত ব্যবসায়িক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে সাম্ভাব্য সহযোগিতা করা হবে।
রেজওয়ানুল হক জামি তার একটি মাল্টিমিডিয়া পরিবেশনার মাধ্যমে কিভাবে ডাক বিভাগের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন অনলাইন শপ এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে স্বাধীন উদ্যোক্তা হিসেবে ই-কমার্স সেবায় যুক্ত হয়েছেন তার একটি চিত্র তুলে ধরেন।
ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন বলেন, ডাক বিভাগ নিজেদের সক্ষমতাকে দক্ষতায় রুপান্তর করতে চায়। সেজন্য যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে ডাক সেবাকে আধুনিক জীবেনের উপযোগী করতে চায়। ই-কমার্স সেবার পরিধি বাড়াতে ডাক বিভাগের বিস্তৃত অবকাঠামো ও প্রান্তিক কর্মীদের সংযুক্ত করা এখন সময়ের দাবী। বিশেষ করে ডাক বিভাগের অধীনে যেসব স্বাধীন উদ্যোক্তা রয়েছে তারাও এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে প্রান্তিক ক্রেতা ভোক্তাদের ডিজিটাল বাণিজ্যে যুক্ত করছে।
অনুষ্ঠানে মতামত তুলে ধরে আলোচনায় অংশ নেন জনাব রেজা আলি মাহমুদ, ডিরেক্টর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, শপআপ। খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ অপারেটিং অফিসার, দারাজ.কম.বিডি, এ.কে.এম ফাহিম মাশরুর, সি-ই-ও,আজকেরডিল.কম, জসিম উদ্দিন চিশতি, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ধামাকা শপিং বিডি।
ডাক বিভাগের উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন, দ্বিপায়ন সুশীল, সভাপতি, বাংলাদেশ ডিজিটাল পোস্ট অফিস উদ্যোক্তা ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা। এস এম মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ডিজিটাল পোস্ট অফিস, উদ্যোক্তা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা ও মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন রুবেল, ডিজিটাল ডাকঘর উদ্যোক্তা ম্যানেজমেন্ট টিম।
উল্লেখ্য ইতোপূর্বে ডাক বিভাগের সাথে ই-ক্যাবের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ই-ক্যাব ডাক বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের ডাকঘরসমূহকে ই-কমার্স সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে।