সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পরার পর এর প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন জোগাড়ের জন্য বিভিন্ন দেশ যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ভ্যাকসিন উন্নয়নে মূলত ধনী দেশগুলই এগিয়ে আছে।
ইসরায়েলে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১.৫৫ জনকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। তার পরেই রয়েছে বাহরাইন। সেদেশে এই হার ৩.৪৯। তৃতীয় স্থানে ব্রিটেন, হার ১.৪৭।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি ওয়েবসাইট, যারা বিশ্বব্যাপী এর ওপর নজর রাখছে তারা এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। যাদেরকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে এই হিসেবে ধরা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত যেসব টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে সেগুলোর দুটো ডোজ দিতে হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে ১৮ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট ছিল ২০২০ সালের মধ্যে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া কিন্তু ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা প্রায় ২৮ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন (টিকা) নিলেন যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি। তারা ভালো আছেন এবং সুস্থ আছে। এ পর্যন্ত তেমন কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া তারা ফিল করেন নাই।
তারা করোনার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন।
মহামারি করোনা থেকে বাঁচতে যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে দশ লাখের বেশি মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনিই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
ডা: মুহাম্মদ আলী মানিক, ফিজিশিয়ান, ইস্টসাইড পেডিয়াট্রিক।
তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউএস আওয়ামী লীগের। মিস্টার আলী বলেন যে, টিকা নিয়েছেন এবং এটি নিরাপদ। তেমন খুব একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হননি । তিনি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
হেনা ইসলাম তিনি একজন কার্ডিওভাসকুলার, পিটার্সবার্গ সিটি, ভার্জিনিয়া রাজ্য, ইউ এস এ।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী এন্টারপ্রেনার বাংলাদেশ পত্রিকা গ্রুপের চেয়ার বাবুল ইসলাম এর সহধর্মিণী।
ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা হিসেবে তিনি টিকা নিয়েছেন এবং সুস্থ আছে ভালো আছেন।
আর এ রফিক খান, আয়ারল্যান্ডের নাগরিক, টিকা নেয়ার পর তিনি যা বলছেন, আলহামদুলিল্লাহ আজ ভেকসিন নিলাম ।
স্বাস্থ্য খাতে ফন্ট লাইনের কর্মী হিসাবে আয়ারল্যান্ড সরকারি বেসরকারি সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের ভেকসিন দিচ্ছে, এরপর আয়ারল্যান্ডে সিনিয়র সিটিজেন হতে শুরু হবে এ ভেকসিন প্রদান কর্মসূচি এবং তা চলবে পর্যায়ক্রমে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমসহ অন্য কিছু মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর তাই ভেকসিন নিয়ে অনেকেই এখনও দ্বিধাগ্রস্ত । কিন্তু কোন গুজবে কান দেবেন না। সময় মতো সবাই পাবেন ভেকসিন । করোনা মহামারি হতে বাচঁতে সবাইকে ভেকসিন নেওয়ার অনুরোধ রইলো,,,,
নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে নিরাপদ রাখুন। Had First Dose Of Covid 19 Vaccine. Comirnaty(Pfizer/BioNTech) COVID-19. আবার আরো একটি ডোজ নিতে হবে
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল্লাহ। এম.বি.বি.এস, ডি.সি.এইচ (গ্লাসগো), এমআর.সি.পি (ইউকে), স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে এমএসসি (ডায়াবেটিস) সিনিয়র পেডিয়াট্রিক রেজিস্ট্রার। লেটারকেনি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল।
সভাপতি, বাংলাদেশ কমিউনিটি ডোনেগাল আয়ারল্যান্ড ও একজন শিশু বিশেষজ্ঞ কন্সুলেট।
তিনিও টিকা নিয়েছেন এবং সুস্থ আছেন।
করোনাভাইরাসের টিকা মানুষের শরীরের ডিএনএ পরিবর্তন করে দেবে এরকম প্রচারণা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে করা হয়েছে।
কার্যত করোনা ভাইরাসের টিকা মানবদেহের ডিএনএ-তে কোন পরিবর্তন ঘটায় না।
করোনা ভাইরাসের যেসব নতুন টিকা তৈরি করা হয়েছে তাতে ভাইরাসটির একটি জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এটিকে বলা হয় মেসেঞ্জার আরএনএ। ব্রিটেনে সদ্য অনুমোদন করা ফাইজার এবং বায়োএনটেকের টিকাটিও একইভাবে তৈরি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জেফরি অ্যালমন্ড বলছেন, “একজনের শরীরে যখন ইনজেকশনের মাধ্যমে আরএনএ ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তখন এটি মানব কোষের ডিএনএ-তে কোন প্রভাবই ফেলে না।”
এই টিকা আসলে কাজ করে মানুষের শরীরকে এক ধরনের নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে। এই নির্দেশনার মাধ্যমে এমন এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়, যা করোনাভাইরাসের উপরিভাগে থাকে।
মানুষের শরীরের যে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, এটি তখন এরকম প্রোটিন শনাক্ত করে এবং এর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করতে পারে।
বিল গেটস একটি টিকা ব্যবহার করে মানুষের ডিএনএ বদলে দিতে চান এমন দাবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের টিকা মানুষের শরীরের ডিএনএ-তে পরিবর্তন ঘটিয়ে দেবে, এমন দাবি এর আগেও যাচাই করে দেখা হয়েছে। গত মে মাসে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেখানেও এধরণের দাবি করা হয়। তখনও আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি।
তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছিল যে আরএনএ (এমআরএনএ) ভ্যাকসিন প্রযুক্তি এর আগে কখনো পরীক্ষা করা হয়নি এবং অনুমোদনও করা হয়নি।
এটি সত্য যে, বর্তমান সময়ের আগে এমআরএনএ টিকা কখনও অনুমোদন করা হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে মানুষের শরীরে এমআরএনএ টিকা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে।
আর করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে হাজার হাজার মানুষের ওপর। অনুমোদনের জন্য এই টিকাকে খুবই কঠোর এক যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
যে কোন নতুন টিকা অনুমোদন পেতে গেলে যেসব নিরাপত্তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়, এই নতুন টিকার ক্ষেত্রেও তাই করতে হয়েছে, যাতে করে এটিকে গণহারে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা যায়।