গত ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর বার্ষিক সাধারণ সভা। ই-ক্যাবের সভাপতি জনাব শমী কায়সার এর সভাপত্বি সাধারণ সভা পরিচালনা করেন ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ ওয়াহেদ তমাল। ২০১৯ সালের এই এজিএম সরকারী বিধি নিষেধের কারণে এতদিন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। পূর্বে দুই দফা অনুষ্ঠানের তারিখ দেয়ার পর স্থগিত হয়ে যাওয়া এই সভায় বিগত বছরের কর্মকান্ডের বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন জেনারেল সেক্রেটারী এবং বিগত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন ফিন্যান্স সেক্রেটারী আব্দুল হক অনু।
সভাপতির বক্তব্যে শমী কায়সার বলেন, আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে আজকের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির গতি ত্বরান্বিত করেছে। ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সেরা সেবা দিয়ে দেশের মানুষের পাশে ছিল এবং সরকারের আহবানে সাড়া দিয়েছে। তার পুরষ্কার ই-ক্যাব পেয়েছে সরকারী স্বীকৃতি ও ক্রেতা সাধারণের আস্থা। তিনি সরকারী দপ্তরসমূহকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বার্ষিক প্রতিবেদনে ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী বলেন, ই-ক্যাব আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার পেয়েছে। গোটা ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে মানুষের লাইফ লাইনে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চালিকা শক্তি হবে ডিজিটাল লেনদেন। তিনি ই-ক্যাবের এই পুরষ্কার প্রাপ্তি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে এবং ই-ক্যাবের সকল সদস্যকে উৎসর্গ করেন।
জেনারেল সেক্রেটারী সর্বপ্রথমে সভাপতির অনুমতিক্রমে বার্ষিক সাধারণসভা ২০১৯ এর নোটিশ পাঠ করেন। ধারাবাহিকভাবে বিগত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সদস্যদের সম্মতিক্রমে অনুমোদেন করেন, ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন, চ্যাটবক্সের মাধ্যমে আসা সদস্যদের প্রশ্ন ও মতামতের জবাব দেন, ২০১৯ সালের আর্থিক বিবরনী প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে অনুমোদিত হয় এরপর ২০১৯ সালের জন্য অডিটর নিয়োগ, বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সবশেষে ২০২০-২১ সালের নির্বাচিত কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন। সভায় আগামী দিনগুলোতে রুরাল ই-কমার্স, ক্রসবর্ডার ই-কমার্স, ই-কমার্স সাপ্লাইচেইন ইত্যাদি বিষয়ে ই-ক্যাবের কর্মপরিকল্পনার কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার পেয়েছে ই-ক্যাব। করোনাকালীন সময়ে নিত্যপণ্য সেবাসহ বেশকিছু কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ ই-ক্যাবকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে সরকার। করোনাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নিত্যপণ্য সেবা সচল রাখার ব্যাপারে ই-ক্যাব তাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাথে নিয়ে নানাবিধ সীমাবদ্ধতার মধ্যে দেশব্যাপী নিত্যপণ্য সেবা সচল রেখেছে। এর পাশাপাশি মানবসেবা নামক কর্মসূচীর মাধ্যমে ই-ক্যাব হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, প্রান্তিক চাষীদের পাশে দাঁড়াতে অনলাইনে আম বিক্রি প্রকল্প, গ্রামীণ কৃষকের গরু অনলাইনে বিক্রি করা, অনলাইনে টিসিবি’র পেঁয়াজ বিক্রি করে বাজার নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখাসহ বেশকিছু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সরকারী দপ্তরসমূহ ই-ক্যাবকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে এসব কাজ ত্বরান্বিত করেছে।