(প্রেস রিলিজ)
৪র্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার পেল ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। করোনাকালীন সময়ে নাগরিক সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার ও জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এর হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়। আজ ১২ ডিসেম্বর আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইন আহমেদ পলক এই পুরষ্কার তুলে দেন।
করোনাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নিত্যপণ্য সেবা চালু রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, লকডাউন এলাকায় জনসাধারণকে জরুরী সেবা প্রদান, ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে কুরবানি পশু বিক্রয় ও গরু জবাই করে বাসায় মাংস পৌঁছে দেয়া, অনলাইনে আমমেলার আয়োজন করে চাষী এবং উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং মানবসেবার মাধ্যমে স্বল্পআয়ের হাজারো পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য দল হিসেবে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদকের নামে এই পুরষ্কার দেয়া হয়।
প্রধান অতিথির ভিডিও ভাষণে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব আব্দুল হামিদ করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাবের সেবার কথা স্মরণ করেন এবং পুরষ্কার বিজয়ী হিসেবে অভিনন্দন জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে তারই পথধরে চলেছে আমাদের অগ্রযাত্রা। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর ঘোষনাই আজ তথ্য প্রযুক্তিক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে। এ ব্যাপারে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্ঠা সজিব ওয়াজেদ জয় এর নেতৃত্ব ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। করোনাকালীন সময়ে ই-ক্যাবের বিভিন্ন পদক্ষেপ এর কথাও তিনি তুলে ধরেন।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, এই অর্জন ই-ক্যাবের প্রতিটি কর্মী ও সদস্যের। সকলেই দূর্যোগকালীন সময়ে ব্যবসার কথা না ভেবে মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে গেছে। তারই প্রতিদান হিসেবে মিলেছে মানুষের আস্থা। আজ তার সাথে যুক্ত হয়েছে স্বীকৃতি স্বরুপ এই পুরষ্কার।
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, টিম ই-ক্যাব বেশকিছু কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এটা হয়েছে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে। আশাকরি ভবিষ্যতেও ই-ক্যাব ও ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা দিয়ে মানুষের পাশে থাকবে।
সরকারী বেসরকারী মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে ১৫ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও দলকে এই পুরষ্কার দেয়া হয়।