আজ ১৬ নভেম্বর অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় আয়োজিত মেধা অনুসন্ধানের ডিজিটাল কর্মসূচী ‘‘ই-জিনিয়াস’’ হান্ট এর উদ্ভোধন করা হয়। মুজিববর্ষে আয়োজিত বিজয় দিবসের এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ। ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপাতিত্বে সারা দেশের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা অফিসার, টিএনও, এডিসি শিক্ষা ও বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
১৬ নভেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যারা কনটেন্ট আপলোড করবে তাদেরকে প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচনা করা হবে। এখানে ১০০০ সেরা জিনিয়াসকে বাছাই করে মেডেল প্রদান করা হবে এবং ২০ জনকে নিয়ে করা হবে টিভি রিয়েলিটি শো। উল্লেখ্য এর আগে গত ৮ নভেম্বর ‘ই-জিনিয়াস’ এ্যাপের আনুষ্ঠানিক লঞ্চিং করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি।
ই-জিনিয়াস সম্পর্কে বলা হয় এটা মূলত স্কুল শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ কার্যক্রম। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে না পারায় একদিকে যেমন তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ হচ্ছে না অন্যদিকে তারা আনন্দ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের কথা মাথায় রেখে প্রথম থেমে ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে এই কার্যক্রমে। এমনটাই জানানো হয়েছে অনুষ্ঠানে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ-ধরনের কার্যক্রমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের যে সাড়া তাতে আমরা অভিভূত। শিক্ষার্থীরা নিজেরা যেমন কনটেন্ট দিয়ে আনন্দ পাবে তেমনি অন্য শিক্ষার্থীদের কনটেন্ট দেখেও তারা বিনোদন পাবে। শিক্ষক ও অভিভাবক সকলে এসব কনটেন্ট দেখতে পারবে এবং লাইক দিতে পারবে।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এ ধরনের প্লাটফরম ছিলোনা তবুও আমাদের সময়ে সংস্কৃতি প্রেমীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে গেছে। এখন পরিধিটা অনেক বড় হয়ে গেছে তথাপি মুজিব বর্ষে আয়োজিত বিজয় দিবসের এই কার্যক্রম সে একই চেতনা ধারণ করবে।
ই-ক্যাবের সেক্রেটারী জেনারেল, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, এই কার্যক্রম স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও কোনো সীমারেখা নেই। যারা স্কুলে যায়না তারাও যেমন অংশগ্রহণ করতে পারবে। তেমনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য থাকবে আলাদা ক্যাটাগরি। এছাড়া এক স্কুল থেকে যতজন খুশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে আবার একজন শিক্ষার্থী যতখুশি কনটেন্ট দিতে পারবে।
বিভিন্ন শাখায় কনটেন্ট দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা এর মধ্যে রয়েছে ছবি আঁকা, গান, কবিতা, গল্প-বলা, নাচ, অভিনয়, যেমন খুশী তেমন সাজো, অ্যানিমেশন, ক্রিয়েটিভ প্রোজেক্ট ও অন্যান্য। অনুষ্ঠানে মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও নরসিংদীর জেলা প্রশাসক বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন জেলার এডিসি, টিএনও, শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানগন তাদের মতামত তুলে ধরেন, এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ই-ক্যাবকে ধন্যবাদ জানান এবং সর্বাত্মক অংশগ্রহণের কথা জানান।
লাইভ লিংক: https://www.facebook.com/watch/?v=704243180469934