দেশের এক কোটি মানুষকে ই-কমার্স গ্রাহক তৈরিতে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। তিনি স্বপ্ন বুনেন ইভ্যালিকে নিয়ে প্রতিনিয়ত। ই-ভ্যালী একদিন আলিবাবা অ্যামাজনের মতো কোম্পানি হবে। সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলের স্বপ্ন, ১৬ কোটির মধ্যে অন্তত এক কোটি মানুষকে ই-কমার্সের আওতায় আসবে।
হঠাৎ করেই ছন্দপতন। একটি স্বপ্নের বাস্তবায়নের পথে হঠাৎ বাধা এবং এই বাধার প্রাচীর ভেংগে উঠে দাঁড়ানোর চেস্টা।
পাশে দাঁড়িয়েছে ই-ক্যাব। দাঁড়ানোইতো স্বাভাবিক কারন কোনো স্টার্ট -আপ ক্ষতিগ্রস্থ হোক কাম্য নয়।
মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, সহ-সভাপতি, ই-ক্যাব সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইভ্যালীর ব্যবসা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে ৭ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে ই-ক্যাব। সাম্প্রতিক সময়ে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠান ইভ্যালী সম্পর্কে পত্রিকায় প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের তথ্য চাওয়ার আলোকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক ও ই-ক্যাবের ১ জন প্রতিনিধি রয়েছেন এই কমিটিতে। এদের মধ্যে দুইজন পেমেন্ট বিষয়ে, একজন আর্ন্তজাতিক ব্যবসায়, একজন ই-কমার্স স্ট্রেটিজিস্ট ও একজন ই-কমার্স গবেষক রয়েছেন। এছাড়া একজন আইনজ্ঞ এই কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন।
কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ড. বি এম মইনুল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (আই আই টি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. রাফি উদ্দীন আহমেদ, ই-লার্নিং স্ট্যাটিজিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মোঃ ইফতেখারুল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক, আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. সূবর্ণ বড়ুয়া, সহকারী অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফায়সাল মাহমুদ সজিব, এসিএ, ফাউন্ডার এন্ড পার্টনার: এসিসিফিনট্যাক্স, ব্যরিস্টার শাওন এস নোবেল, (শাওন নোবেল এন্ড এসোসিয়েট), সাদরুদ্দীন ইমরান, চেয়ারম্যান, ইক্যাব রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটি, সিইও, ইনোভেশন কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড।(সমন্বয়কারী)।
ইতোমধ্যে কমিটি দুই-দফা বিভিন্ন কৌশলগত সভা করেছে। দুই একদিনের মধ্যে কমিটির সদস্যগণ ইভ্যালী অফিস পরিদর্শন করবেন, ইভ্যালীর সাথে কৌশলগত আলোচনা করবেন এবং কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করবেন। বিশেষ করে ই-ভ্যালীর ব্যবসায় পদ্ধতি, এমএলএম সাম্ভাব্যতা, বিভিন্ন অফারের আইনগত দিক এবং ক্রেতা-ভোক্তাদের অভিযোগসমূহ খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। এছাড়া এই কমিটিকে সহযোগিতা করার জন্য ই-ক্যাবের ৫ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনকে যাচাই বাছাই শেষে পর্যালোচনা কমিটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করবেন।
যেকোনো পরিস্থিতিতে ই-ক্যাব সকলের নিকট থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছে। প্রত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের তদন্ত কার্যক্রমকে ই-ক্যাব স্বাগত জানায়। এজন্য সরকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে ই-ক্যাব সব ধরনের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত। কিন্তু তদন্ত চলাকালীন কোনোরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ই-ক্যাব কোনোভাবেই সমর্থন করেনা।
ই-ক্যাব সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানকে এই মর্মে আহবান জানাচ্ছে, তারা যেন দেশের আইন, সরকারী বিধান, কোম্পানী আইন, ডিজিটাল কর্মার্স নীতিমালা, কম্পিটিশন কমিশনের বিধিমালা, ভোক্তা অধিকার আইন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সংক্রান্ত বিধি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিধিবিধান ও ই-ক্যাবের নিয়মনীতি মেনে চলে এবং ক্রেতা সাধারণের দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। ক্রেতা সাধারণকে দেশের প্রচলিত আইন কাঠামোর উপর আস্থা রেখে তাদের অভিযোগ ও তার সমাধানের পরামর্শ দেয় ই-ক্যাব।