ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার ছাড়া কেউ ভোটকেন্দ্রের আশপাশে গেলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম।
ভোটের আগের দিন শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ভোটার ছাড়া ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে না আসার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আওয়ামী লীগ-বিএনপি বলব না; যিনি ভোটার না তিনি কেন্দ্রের আশপাশে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
“যার যে কাজ আছে তা করবেন অনর্থক কেন্দ্রের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করবেন না, করলে আমরা গ্রেপ্তার করব।”
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ভোটার ও অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে।
ঢাকার দুই সিটি মিলিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা প্রায় দেড় হাজার কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তালিকা করা হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ওইসব কেন্দ্রের আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন থাকবে; গোয়েন্দারা কাজ করবে। কোনো কিছু হলে আমাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত থাকবে।”
অবৈধ ভোট দিলে সর্বোচ্চ শাস্তি: এনআইডি ডিজি
ভোটার না হয়েও ভোট দিতে গেলে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমন্বয়ের জন্য গঠিত মনিটরিং সেলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।
শুক্রবার বিকালে নির্বাচন ভবনে ভোটের আইনশৃঙ্খলা, ইভিএম ও নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সাইদুল বলেন, “কেউ অবৈধভাবে ভোট দিয়েছে প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। বৈধ ভোটারকে ভোট প্রদানে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কমিশন বদ্ধ পরিকর। আমরা প্রমাণ করতে চাই, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম।”
নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনে ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।