নারীর ক্ষমতায়ন এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে নারীরা তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের যোগ্যতা ও অর্জনকে তুলে ধরতে পারেন এবং পরিবার, সমাজ বা গণজীবনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্ত ও অবস্থানকে তুলে ধরেন। নারীর ক্ষমতায়ন মূলত অর্থনৈতিক ক্ষেত্র এবং রাজনৈতিক অবকাঠামোতে অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি মাধ্যম বা উপায়, যার মাধ্যমে নারীরা নিজেদের মেধা ও যোগ্যতাকে প্রকাশ করতে পারেন এবং নিজেদের অধিকারগুলো আদায়ে সচেষ্ট হতে পারেন। নারীর ক্ষমতায়ন তখনই সম্ভব, যখন কোনও বাধা বা সীমাবদ্ধতা ছাড়াই নারীরা শিক্ষা, কর্মজীবন এবং নিজেদের জীবনধারায় পরিবর্তন আনার জন্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যবহারের সুযোগ পান। নারীর ক্ষমতায়নই হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ও সামাজিক পরিবর্তনের অন্যতম চাবিকাঠি।
নারী না থাকলে যেমন জীবন প্রস্ফুটিত হতো না, তেমনি নারীদের গৌরবগাঁথার ইতিহাস সামনে না এলে বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের জাগরণ আসবে না। নারী যেমন তার নিজ পরিবারের যত্ন নেন, তেমনিভাবে আলোক দ্যুতি ছড়ান জীবনের নানান ক্ষেত্রে।
সেই নারী যখন মাথা তুলে দাঁড়াতে চান, নিজের আপন মহিমায় সামনে এগুতে চান,তখনি শুরু হয় থমকে দেবার প্রয়াস।এ কোন সমাজে আমাদের বেড়ে উঠা? কাদের নিয়ে আমাদের আগামীর পথ চলা?
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি নারীদের ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ। ১৯৬৭ সালে মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু নারীদের মূলধারার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ও গণজীবনের সব পর্যায়ে নারীদের সম অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয় এবং নারী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে রাষ্ট্রের বিশেষ বিধান প্রণয়নের ক্ষমতাও সংযোজন করা হয় (অনুচ্ছেদ ২৭ ও ২৮)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরপরই সব পর্যায়ে লিঙ্গ সমতা, নারীর উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য অসংখ্য নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করেন এবং বাস্তবিক অর্থে সব পর্যায়ে তা সুসংহত ও কার্যকর করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
অথচ একনো নারীর ক্ষমতায়নে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে নারী। কে গাড়ি কিনলো? কে বাড়ি বানালো?কোথায় পেলো এত টাকা? এসব অবান্তর প্রশ্ন করে একজনে সামাজিক সম্মান নষ্ট করার অধিকার আদো কি রাখা উচিৎ?
কারো দুর্নীতি থাকলে তা দেখার জন্যে রাষ্ট্রযন্ত্রের চোখ অনেক সজাগ।একের পর এক অন্যায় সামনে আসছে।অন্যায়কারী কোন ভাবে রক্ষা পাচ্ছে না। পাবে না। এ ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নিয়েছেন। তাহলে কেন এই কাদা ছুড়াছুড়ি।
মহিলা এম পি তামান্না নুসরাত বুবলির গাড়ী কেনা নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম সরব। তার একটা ব্যাক্ষাও তিনি দিয়েছে।
জনপ্রিয় প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের সহধর্মিণী তামান্ন নুসরাত বুবলি। তিনি জাতীয় সংসদের একজন সম্মানিত সংসদ সদস্যও বটে।গনমানুষের ভালোবাসা তাকে ঘিরে থাকে সারাক্ষণ।এটি হয়তো কারো মনের জমিনে ঈর্ষার বীজ বপন করে, অঙ্কুরিত হয় আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আলো,বাতাস ও পানিতে মহিরুহ হয়ে অক্সিজেনের পরিবর্তে বিষবাস্প ছড়ায়।
তিনি এন্টারপ্রেনার বাংলাদেশকে বলেন, প্রয়াত স্বামীর অর্থেই কেনা হয়েছে এই গাড়ী। তিনি আরো বলেন,আমার স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক,আমার পরিবারও সেই আদর্শে লালিত। আমার স্বামী তথা আমাদের পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন স্বার্থে কিছু মানুষ এসব করছে।আমি কামনা করছি তাদের শুভ বোধের সূচনা হোক এবং মানব কল্যাণে নিবেদিত হোন।