নাম: ড. আসিফ মাহমুদ
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
SSC: আইডিয়াল স্কুল থেকে ৭ম
HSC: নটরডেম কলেজ
BSc: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয়।
MSc: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম।
প্রোফাইল দেখেই বুঝতে পারছেন উনি কোনো আলতু ফালতু মানুষ না কিংবা স্বপ্নে পাওয়া কোনো ফর্মুলা থেকে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন নি।উনি যদি চাইতেন ইউরোপ-আমোরিকার কোনো দেশে রাজকীয় হালে থাকতে পারতেন। ওনার সেই কোয়ালিটি এবং ক্যাপাবিলিটি আছে।
কিন্তু,উনি অন্যদের মত বিদেশ পাড়ি জমান নি।
“ওরা যদি পারে, আমরাও পারবো।”
“We cannot afford to lose people” বলতেই আসিফ মাহমুদের (ইনচার্জ, গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড) চোখ ছলছল করে উঠাটা হয়তো অনেকেরই নজর এড়িয়ে গিয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে দেশের মানুষের জন্য কতোটা ভালোবাসা ছিলো তা সহজেই অনুৃমান করা যায়।
“বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার দাবী করেছে” - শুনতেই আমাদের সচেতন ফেসবুক বিশেষজ্ঞগন হাসতে হাসতে মাটিতে শুয়ে পড়ছেন।ট্রল করছেন।মজা নিচ্ছেন। অথচ দফায় দফায় ট্রায়াল দিয়ে ব্যর্থ হওয়া বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর খবর শেয়ার দিতে দিতে টাইমলাইন ভরে ফেলেছি।
নিজ দেশের প্রতি এতো অবিশ্বাস আমাদের? আমাদের দেশের হাজার হাজার মেধাবী তরুণরা বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন টপ ক্লাস পজিশন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এ খবরটা কি আমাদের অজানা? আজ যদি ড.আসিফ মাহমুদ অন্য কোনো দেশে বসে ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর দাবী জানাতেন তাহলে কিন্তু আমরা মাথায় তুলে নাচতাম, কিন্তু এখন কি করছি?
ইতিমধ্যেই খরগোশ এর দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে এন্টিবডি উৎপাদনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।আসুন প্রার্থনা করি যেন ক্লিনিক্যাল টেস্টে আমাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন সফলতা লাভ করে।
সত্যি বলতে এরকম কিছু হলে পুরো বিশ্বে বাংলাদেশ হইচই ফেলে দিতে পারবে।
আমরাও গর্বের সাথে বলতে পারবো, ” ওরা পারলে, আমরাও পারি”