‘অন্ট্রাপ্রেনার’ (Entrepreneur) তথা ‘উদ্যোক্তা’ নামক শব্দটির সাথে আজকাল কম-বেশি আমরা সকলেই পরিচিত। উদ্যোক্তা বলতে এমন এক ব্যক্তিকেই বোঝায়, যিনি অন্যের অধীনে চাকরির পরিবর্তে নিজেই ছোটখাট কোনো একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং সেই ব্যবসাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তার সকল রকম কর্মপরিকল্পনা।
তবে একজন উদ্যোক্তা একটি দিক থেকে অন্য দশজন ব্যবসায়ীর থেকে একেবারেই অনন্য হয়ে থাকেন। সেটি তার আইডিয়া। তিনি যে সমস্যা সমাধানের জন্য এই কাজে নেমেছেন, সেই সমাধানমূলক আইডিয়াটি সাধারণত ইনোভেটিভ, অর্থাৎ নতুন ধারার প্রবর্তক হয়ে থাকে। তার আইডিয়া, সেবার ধরন, পণ্য- সবকিছুকেই আপনি এতদিন ধরে দেখে আসা অন্যান্য সেবার সাথে মেলাতে পারবেন না। সবকিছুতেই যেন খুঁজে পাবেন এক নতুনত্বের ছোঁয়া।
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতায় পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। শিক্ষাজীবন শেষে চাকরিই যে শেষ গন্তব্য- এমন চিন্তা-ভাবনার গণ্ডিকে অতিক্রম করে তাদের অনেকেই আজ নিজ উদ্যোগে কিছু করতে চাইছেন।
সেই উদ্যোগের শুরুটা হয়তো হচ্ছে খুব স্বল্প পরিসর থেকে। কিন্তু এর পেছনের স্বপ্নটা থাকছে আকাশছোঁয়া। তাই সেই স্বপ্নের গাছটাকে বিশাল বড় করতে তারা রাত-দিন খেটে যান, হাসি মুখে মুখোমুখি হন সকল চাপ, চ্যালেঞ্জ আর ক্লান্তির। সমাজ হয়তো তাদের প্রতি বিরক্ত হয়, অভিভাবকেরা হয়তো হতাশ হন তাদের সন্তানদের সরকারি চাকরি বিমুখীতা দেখে। কিন্তু কয়েকটা বছর ধৈর্য ধরে যারা নিজেদের উদ্যোগকে বড় করতে খেটে যান, শেষপর্যন্ত বিজয়ীর হাসিটা আসে তাদের মুখেই।
আপনিও কি একজন উদ্যোক্তা হতে চান? ছোটখাট ব্যবসার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে নিজের স্বপ্নের গন্তব্যে পৌঁছতে চান? আপনার উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে সত্যিই অসাধারণ। তবে এখানে একটি কথা আছে। আপনি আজ চাইলেন, কাল ব্যবসায় নেমে গেলেন, আর নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রচার শুরু করে দিলেন- বিষয়টি কিন্তু মোটেও এমন না। বরঞ্চ এর পেছনে জড়িত আছে আরো অনেক কিছুই।
শুরুতেই দরকার হবে কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজা, যে উত্তরগুলো সামনের দিনগুলোতে আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আজকের লেখায় আমরা এমনই কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো, জানবো কোথায় খুঁজে পাওয়া যেতে পারে সেসব উত্তর, তবে দিনশেষে সেসব উত্তর খুঁজে বের করার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই!
১. আমি কে?
জীবিকার্জনের জন্য আপনি যে পথটা বেছে নিতে যাচ্ছেন, তা কোনো ১০০ মিটারের রেস না, এটা একটা ম্যারাথন। এখানে উত্থান-পতন, সুসময়-দুঃসময় সহাবস্থান করে। যে মুহুর্তে আপনি আশার আলো দেখতে পাবেন, পরমুহূর্তে হয়তো সেখানেই আপনি নতুন কোনো সমস্যা খুঁজে পেয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াবেন।
এত রকম বৈপরীত্য যেখানে পাশাপাশি থাকে, সেখানে সবার আগে দরকার নিজের সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা। আপনার দুর্বলতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন, সেই সাথে বের করুন আপনার শক্তিমত্তার জায়গাগুলোও। সামনের দিনগুলোতে আপনার কাজ হবে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠা এবং নিজের শক্তির জায়গাগুলোকে দৃঢ়তর করে তোলা।
এখানে টিকে থাকতে হলে আপনার দরকার হবে ধৈর্য, অধ্যবসায়, সহিষ্ণুতা, সহনশীলতা, সৃজনশীলতার মতো নানাবিধ চারিত্রিক গুণাবলীর। এখন আপনিই ভেবে দেখুন, একা একা কাজ করে, এসব গুণাবলী নিজের মাঝে ধারণ করে নিজের উদ্যোগকে এগিয়ে নেবেন, নাকি বিভিন্নজনের সাথে পার্টনারশিপে গিয়ে একত্রে এগোবেন।
আজ থেকে ৫-৬ বছর পর আপনি অবশ্যই নিজেকে কোনো একটা অবস্থানে দেখতে চাইছেন। আপনার আইডিয়া সেই স্বপ্নের সাথে ঠিক কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ?
মনে রাখবেন, আপনি যে উদ্যোগকে দাঁড়া করাতে চাইছেন, এর সাথে আপনার বিজনেস আইডিয়া, দক্ষতা, ব্যক্তিত্বসহ সবকিছুই মানিয়ে যেতে হবে।
২. আমি কীসের ব্যবসা করবো?
নিজেকে জানার পর এবার নজর দেয়া যাক ব্যবসার দিকে। খুব ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে, বিশ্বস্ত কয়েকজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে, বাজার সম্পর্কে ঠিকমতো অনুসন্ধান করে সিদ্ধান্ত নিন নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে-
ঠিক কোন ধরনের পণ্য বা সেবা দিতে চাচ্ছেন আপনি?
সমাজে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে ঠিক কোনগুলোকে সমাধান করতে চলেছেন আপনি? অন্যভাবে বললে, কোন শূন্যস্থানটা পূরণ করবে আপনার উদ্যোগ?
আপনার পণ্য বা সেবায় কী এমন আছে যার জন্য একজন ক্রেতা ঠিক আপনার কাছেই আসবে?
আপনার ক্রেতা কারা? কোনো ব্যক্তি? নাকি কোনো প্রতিষ্ঠান?
আপনার ক্রেতারা কোথায় থাকেন? তাদের কাছে আপনি কীভাবে পণ্য সরবরাহ করবেন?
এই সবগুলো বিষয় সম্পর্কে ভালো রকমের আইডিয়া নিয়ে এরপরই আপনার মাঠে নামা উচিত। তা নাহলে অর্ধেক পথে গিয়ে কৌশলের পরিবর্তন করতে হলে সমস্যায় পড়বেন আপনি নিজেই।
৩. আমার বিজনেস আইডিয়াটা কি টেকসই?
একবার যখন ব্যবসার ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে পারবেন, এরপর আপনার কাজ হবে এই প্রশ্নের উত্তরটি বের করা। এজন্য আপনাকে মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে হবে প্রচুর পরিমাণে। এর মধ্য দিয়েই আপনার পণ্যের ক্রেতা বা সেবাগ্রহীতা কারা হতে যাচ্ছে, আপনার ব্যবসাটি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হবে কি না- এমন বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।
আপনার প্রতিযোগীদের সম্পর্কে ভালোমতো জানাশোনা থাকতে হবে। তাহলে আপনার পণ্য/সেবাটি কোনদিক দিয়ে তাদের থেকে আলাদা হতে যাচ্ছে, যার জন্য একজন ক্রেতা আপনার কাছে আসবেন সেটাও বের করতে পারবেন। এজন্য দরকারে ছোটখাট কিছু পরীক্ষাও চালাতে পারেন আপনার পণ্য নিয়ে। তবে এর পেছনে খুব বেশি খরচ করার কোনো মানে নেই। আপনার কাছের বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের মাঝে আপনার পণ্য/সেবাটি সরবরাহ করে তাদের মতামতের ভিত্তিতেই আপনি এগিয়ে যেতে পারেন। সেই সাথে বর্তমান সময়ের অবাধ তথ্যভাণ্ডার ইন্টারনেট তো আছেই। সেখান থেকেও পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ করা সম্ভব।
৪. মার্কেটে আমার যথোপযুক্ত স্থানটা ঠিক কোথায়?
খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনার পণ্যের একটি নির্দিষ্ট ক্রেতাগোষ্ঠী আছে, যাদের দিকে লক্ষ্য রেখেই আপনি ব্যবসায় নামার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এবার তাহলে এদিকে নজর দেয়া যাক।
আপনি, এবং একইসাথে আপনার ব্যবসার মাঝে এমন কী আছে, যা একে অনন্য করে তুলবে?
আপনার ব্যবসার আপনি ঠিক কোন বিষয়টি নিয়ে আপনি সকলের কাছে পরিচিত হতে চান?
এই প্রশ্নগুলোর গ্রহণযোগ্য উত্তর খুঁজে বের করুন, সেগুলো নিয়ে পর্যাপ্ত সময় ধরে ভাবুন। এই ব্যয়িত সময়ই একদিন আপনার জন্য সোনা নিয়ে আসবে, আপনার স্থানটাকে মার্কেটে সুদৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যাবে। মানুষ তখন আগে আপনার পণ্য খুঁজবে। দাম কত? ওটা তো পরের বিষয়!
৫. আমার ব্যবসার প্রচারণা কীভাবে চালাবো?
জায়গা খুঁজে পাওয়ার পর এবার তাহলে সবাইকে জানানোর পালা, অর্থাৎ আপনার পণ্যের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। আপনি যে পদ্ধতিতেই প্রচারণা চালান না কেন, সেটা দুটো উদ্দেশ্য অবশ্যই পূরণ করতে হবে- ১) আপনার টার্গেট করা ক্রেতাদের কাছে সেই খবরটা পৌঁছাতে হবে এবং ২) সেই পদ্ধতিটি অবশ্যই আপনার ব্যবসার সাথে মানানসই হতে হবে।
২য় পয়েন্টটি বুঝতে কারো কারো কষ্ট হতে পারে। এজন্য একটু খোলাসা করেই বলা যাক। আপনি যে ধরনের পণ্য নিয়েই ব্যবসা করুন না কেন, নিয়মিতই সেটার প্রচারণা চালাতে হবে। এখন যদি এই প্রচারণা চালানো অর্থাৎ মার্কেটিংয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ফেলেন, তাহলে কিন্তু আপনার আসল জায়গাতেই টান পড়ে যাবে। তখন আপনার বিজ্ঞাপন, মাইকিং কিংবা পোস্টারের জোরে ক্রেতা হয়তো আসবে, কিন্তু এসে যখন তিনি নিম্নমানের পণ্য পাবেন, তখন কিন্তু তিনি দ্বিতীয়বার আর আপনার কাছে আসবেন না। সেই সাথে অন্যদের কাছেও আপনার পণ্যের দুরবস্থার কথাটা তিনি জানিয়ে দেবেন। এজন্যই আপনার ব্যবসার হাল-হকিকতের দিকে খেয়াল রেখে এরপরই পণ্যের প্রচারণা করুন।
তবে একটা কথা না বললেই নয়। প্রেম-ভালোবাসার ব্যাপারে বিভিন্ন সাহিত্য কিংবা নাটক-সিনেমায় প্রায়ই বলা হয়, “চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল নয়”। চমৎকার এই আবেগমাখা কথাটি ওসব ক্ষেত্রে খাটলেও ব্যবসার দুনিয়ায় খাটে না। ক্রেতার চোখের আড়ালে চলে গেলে আস্তে আস্তে আপনি তাদের মনের আড়ালেও চলে যাবেন।
এজন্য অবশ্য সহজ উপায়ও আছে। সেটা হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহারের এই যুগে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে কিছুদিন পর পর ক্রেতার সামনে ফিরে আসুন। এতে আখেরে আপনিই লাভবান হবেন।
৬. আমার ব্যবসাটা চলবে কীভাবে?
নিয়মিতই এই প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি আপনার মাথায় বাড়ি দেবে, টোকা না! এখানে আপনি জানতে চাচ্ছেন, “আমি কি ব্যবসা করে যথেষ্ট টাকা কামাতে পারবো?” এই প্রশ্নটার ঠিক উল্টো পিঠেই যে প্রশ্নটা লুকিয়ে থাকে, তা হলো- “ব্যবসাটা শুরু করার জন্য আমার হাতে পর্যাপ্ত টাকা আছে তো?” আসলে শেষের প্রশ্নটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এজন্য এই জগতে আসার আগে কোনো বিজনেস কনসালটেন্ট কিংবা পরিচিতদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞ কারো সাথে বসুন। তার সাথে আপনার আইডিয়া শেয়ার করে বুঝতে চেষ্টা করুন যে, আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে কী পরিমাণ অর্থের দরকার হতে পারে। ব্যবসা শুরুর পর অন্তত ১ বছর যেন নিজের হাতখরচ যোগানোর মতো অর্থ আগে থেকেই আপনার হাতে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ব্যাংক থেকে লোন নেবেন, তাহলে আসবে সম্পত্তি বন্ধকের প্রশ্ন। কোনো অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরের দ্বারস্থ হবেন, তাহলে তার কাছ থেকে আসবে আপনার ব্যবসায় তাকে অংশীদার করে নেয়ার দাবি, যা আপনি কোনোভাবেই ফেরাতে পারবেন না। অর্থাৎ, যেদিক দিয়েই এগিয়ে যান না কেন, সেই পদক্ষেপগুলো হতে হবে সুচিন্তিত এবং বুদ্ধিদীপ্ত।
৭. একটি সুন্দর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কেন দরকার?
ধরে নিচ্ছি, এতক্ষণ যাবৎ আপনি নানা ধরনের গবেষণার মাধ্যমে ব্যবসার জগতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। চমৎকার! এবার তাহলে আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনাটা সুন্দর করে লিখে ফেলুন। এতদিন ধরে যে বিষয়গুলো আপনার মাথায় সারাক্ষণ গিজগিজ করতো, সেগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে লিখতে গেলে আরো নানা ধরনের সমস্যার কথা আপনার মাথায় উঁকি দিয়ে যাবে, বেরিয়ে আসবে নানা সমাধানও।
এই পরিকল্পনাই আপনার ব্যবসার ভবিষ্যত সাফল্য ও ব্যর্থতার মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য গড়ে দিতে সক্ষম। আপনি এর মাধ্যমে একদিকে যেমন আপনার লক্ষ্য স্থির করবেন, তেমনই সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোন ধরনের কৌশল অবলম্বন করা দরকার সেটাও ঠিক করতে পারবেন।
লিখিত এই পরিকল্পনা আপনাকে বিনিয়োগকারীর সামনে আরো আত্মবিশ্বাসীভাবে উপস্থাপনে সহায়তায় করবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এটা সবসময় আপনার মাথায় টোকা দিতে থাকবে, ভুল করলেই বলবে, “উহু, এভাবে না; ওভাবে, ওভাবে!”
৮. আমি কি তাহলে ব্যবসাটা শুরু করবো?
আসলেই কি আপনি ব্যবসার জগতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন? আপনার এতদিনের স্বপ্ন কি তাহলে ছোট পরিসরে শুরু হওয়া উদ্যোগের মধ্য দিয়েই জন্ম নিতে যাচ্ছে? উপরের ৭টি প্রশ্নের যদি ঠিকঠাক উত্তর খুঁজে পেয়ে থাকেন, তাহলে ৮ নাম্বার প্রশ্নটার উত্তরটা আসবে আপনার মনের ভেতর থেকেই। সেই উত্তর আপনি দেবেন না, দেবে আপনার ভেতরে থাকা ‘আমার আমি’!
উদ্যোক্তাগিরি নামক এই ম্যারাথন দৌড়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে করলে আর দেরি করবেন না, শুরু করে দিন যত দ্রুত সম্ভব। আপনার সামনে আছে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য, মাথায় আছে সেই লক্ষ্য ছোঁয়ার জন্য কিছু পরিকল্পনা। সেই সাথে আছে আপনার অদম্য ইচ্ছাশক্তি, যে শক্তি স্বপ্নকে ছোঁয়ার পথে কোনো বাধাকেই বাধা মনে করে না, মনে করে নতুন একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে। আর চ্যালেঞ্জ নেয়ার মানসিকতা যে উদ্যোক্তাদের রক্তেই মিশে আছে!
Source: roar bangla