এন্টারপ্রেনার রিপোর্ট: নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের মধ্যেই ভিন্ন এক পরিবেশে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৩ জুলাই সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোটাররা তাদের প্রিয় প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এবারের এই নির্বাচনে কংগ্রেসম্যান, স্টেট সিটের, স্টেট এ্যাসেম্বলী এবং ডিস্ট্রিক্ট লিডার, কুইন্স বুরো প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কের এবারের নির্বাচনটি ছিলো আলোচিত নির্বাচন। কারণ এই নির্বাচনে প্রায় ১০ জন বাংলাদেশী প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে বদরুন নাহার খান মিতা এবং সানিয়াত চৌধুরী কংগ্রেসম্যান পদে নির্বাচন করেন। অন্যান্য প্রার্থীরা স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান, স্টেট সিনেটর এবং ডিস্ট্রিক্ট লিডার পদে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা এবং বেশ আলোচনায় এসেছেন। ম্যারি জোবায়দা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেছেন। তবে নির্বাচনে সকল বাংলাদেশী আমেরিকান পরাজিত হয়েছেন।
বাংলাদেশীদের বন্ধু হিসাবে পরিচিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং ডিস্ট্রিক্ট ৬ থেকে, ডিস্ট্রিক্ট ১৪ থেকে আলেক্সজান্ডিয়া ওকাসিও কর্টেজ, ডিস্ট্রিক্ট ৫ থেকে গ্রেগরি মিক্স, ডিস্ট্রিক্ট-৯ থেকে ইভাট ডি ক্লার্ক পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেসম্যান পদে বাংলাদেশী সানিয়াত চৌধুরী গ্রেগরি মিক্সেও সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করেছেন। গ্রেগরি মিক্স এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭৯.৩% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রায় ২১% এর মত ভোট পেয়ে আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থী সানিয়াত চৌধুরী। কংগ্রেসওম্যান পদে গ্রেস মেং ৬২% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যালিকুডেস পেয়েছেন ২২%। অন্য প্রার্থী সেন্ড্রা পেয়েছেন ১৮% ভোট। ডিস্ট্রিক্ট ১৪ থেকে ৭৩% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত কংগ্রেসওম্যান আক্সেজান্ড্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ। এই আসনে ২০% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন মাইকেল এবং ৫% ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থী বদরুন নাহার খান মিতা। কংগ্রেসম্যান পদে এগিয়ে রয়েছেন ক্যারোলিন ম্যালনী। তিনি ৪২% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার কাঁধে নি:শ্বাস ফেলছেন সুরজ প্যাটেল। তিনি পেয়েছেন ৪০% ভোট। কংগ্রেসম্যান পদে ডিস্ট্রিক্ট ১৬ থেকে জামাল বোয়াম্যান ৬২% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৬% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ইলিয়ট এ্যাঙ্গেল। ডিস্ট্রিক্ট ১৫ তে ৩১% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রিটসি টোরেস। ১৯% ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মাইকেল ব্লেক। ১৬% ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রুবিন ডিয়াজ সিনিয়র। ডিস্ট্রিক্ট ৯ থেকে কংগ্রেসম্যান পদে ৫৯% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ইভার্ট ডি ক্লার্ক। ২১% ভোট দ্বিতীয় হয়েছেন এ্যাডাম। কংগ্রেসম্যান পদে ডিস্ট্রিক্ট ১০ থেকে জোরাল্ড ৬৩% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী লিনডেসী পেয়েছেন ২৫%। কংগ্রেসম্যান পদে ডিস্ট্রিক্ট ৩ থেকে ৫৯% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন টমাস সুজি। ৩৩% ভোপ পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ডি’এগারো। কংগ্রেসম্যান পদে ডিস্ট্রিক্ট ১১ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নিকোলাস। তিনি পেয়েছেন ৭১% ভোট। ২৫% ভোট পয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন জোসেফ। কংগ্রেসম্যান পদে ডিস্ট্রিক্ট ১৩ থেকে ৫৯% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এডরানিও। ২৫% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন জেমস। ডিস্ট্রিক্ট ১২ থেকে স্টেট সিনেট পদে মাইকেল ৭৫% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ল্যানজিও পেয়েছেন ২৬% ভোট। ডিস্ট্রক্ট ১৩ থেকে স্টেট সিনেটে নির্বাচিত হয়েছেন জেসিকা রামোশ। তিনি পেয়েছেন ৮৫% ভোট। তার প্রতিদ্ব›দ্বী ডায়ানা পেয়েছেন ১৬% ভোট। ডিক্ট্রিক্ট ১৮ থেকে স্টেট সিনেটে নির্বাচিত হয়েছেন জুলিয়া। তিনি পেয়েছে ৮৬% ভোট। তার প্রতিদ্ব›দ্বী এ্যান্ডি পেয়েছেন ১৫%। ডিস্ট্রিক্ট ১৯ থেকে স্টেট সিনেট পদে নির্বাচিত হয়েছেন রকস্যানি। তিনি পেয়েছেন ৭৫% ভোট। দ্বিতীয় হয়েছেন ক্যারন। তিনি পেয়েছেন ২৬% ভোট। ডিস্ট্রিক্ট ২৩ থেকে স্টেট সিনেটর পদে ৭৩% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ড্যানি। ২৮% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন রাজিব গোয়াদা। তিনি পেয়েছেন ২৮% ভোট। ডিস্ট্রিক্ট ২৫ থেকে স্টেট সিনেটর পদে ৫৩% ভোট এগিয়ে রয়েছেন ব্রিজপোর্ট। ৪১% ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন টারমানি হোয়াইট। ডিস্ট্রিক্ট ২৭ থেকে স্টেট সিনেটর পদে ৭৮% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রবার্ট জ্যাকসন। ২৩% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন পিনা। ডিস্ট্রিক্ট ৩২ থেকে স্টেট সিনেটর পদে ৫৪% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন লুইস সুপেরভেদা। ৩৫% ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মার্টিনেজ। ডিস্ট্রিক্ট ৩৪ থেকে স্টেট সিনেটর পদে এ্যালেসেন্ড্রিয়া ৫১% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৫% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে জেমস।
ডিস্ট্রিক্ট ২৪ থেকে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে ৫১% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেভিড ইউপ্রিণ। ২৫% ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভ‚ত মাহফুজুল ইসলাম। ডিস্ট্রিক্ট ৩১ থেকে স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান পদে এগিয়ে রয়েছেন এন্ডারসন। তিনি পেয়েছেন ৪১% ভোট। ২৮% ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন রিচার্ড ডেভিট। ডিস্ট্রক্ট থেকে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে ৮৮% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ভ্যানেল। ১৩% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ওস্টার। ডিস্ট্রিক্ট ৩৪ পদে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে এগিয়ে রয়েছেন জেসিকা। তিনি পেয়েছেন ৪২% ভোট। মাইক্যাল ডেনড্যাকার পেয়েছেন ২৩% ভোট। বাংলাদেশী আমেরিকান জয় চৌধুরী পেয়েছেন ১৩%। তিনি হয়েছেন চতুর্থ। ডিস্ট্রিক্ট ৩৫ থেকে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জ্যাফিরন। তিনি পেয়েছেন ৬৬% ভোট। ৩৪% ভোট দ্বিতীয় স্থানে হ্যায়রাম মুনসুরাত। ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ থেকে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে ৫৩% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ক্যাথেরিন নোলাল। ৩৩% ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বাংলাদেশী আমেরিকান মেরি জোবাইদা। ডিস্ট্রিক্ট ৩৮ থেকে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে এগিয়ে রয়েছেন জেনিফার। তিনি পেয়েছেন ৫৩% ভোট। দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন মাইকেল মিলার। তিনি পেয়েছেন ২৫%। ডিস্ট্রিক্ট ৩৯ থেকে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ক্যাটেলিনা ক্রুজ। তিনি পেয়েছেন ৮৫% ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী র্যামোন পেয়েছেন ১৬% ভোট। ডিস্ট্রিক্ট ৪০ থেকে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে ৭১% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রন কিম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্টিভেন পেয়েছেন ৩০% ভোট। ডিস্ট্রিক্ট ৫১ থেকে এ্যাসেম্বলীম্যান পদে ৩৯% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ফিল্যাক্স। প্রতিদ্ব›দ্বীতায় রয়েছেন মারসেলা। তিনি পেয়েছেন ৩১% ভোট। ডিস্ট্রিক্ট ৪৩ এ স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান পদে ৭৮% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ডায়না রিচার্ডসন। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হ্যামিলটন পেয়েছেন ২৪% ভোট। ডিস্ট্রিক্ট ৩৬ থেকে স্টেট এ্যাসেম্বলী পদে জোরহান মামদানী ৫৫% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আরাবেলা সিমোটাস। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৬%।
কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট পদে ৩৮% ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ড্যানাভন রিচার্ডসন। ২৮% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এলিজাবেথ ক্রাউলি। ১৬% ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কস্টাকন্টাডিসিস।
এদিকে প্রেসিডেন্ট পদে জো বাইডেন পেয়েছেন ৬৭% এবং বার্ণি পেয়েছেন ২০%।