গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান বাড়ছে নারী উদ্যোক্তাদের। শহরের পাশাপাশি এখন গ্রামেও বাড়ছে নারী উদ্যোক্তা। পিরোজপুর জেলায় বাড়ছে নারী উদ্যোক্তা। জেলার বিভিন্ন স্থানে সাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের পথে নারীরা। এতে যেমন তাদের আত্মকর্মসংস্থান হচ্ছে, তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
সমাজে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার লক্ষ্যেই নারীদের এই প্রচেষ্টা। বিউটি পার্লার, হস্তশিল্প, পণ্যের সুপার শপ কিংবা যেকোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় জেলাজুড়ে নারীদের অবস্থান দৃশ্যমান।
এক সময় যেসব কাজ শুধু পুরুষদের জন্যই নির্ধারিত ছিল, সেসব কাজে এখন নারীরাও অংশগ্রহণ করছে। অসংখ্য নারী জেলার বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যাবসায় জড়িত। মূলত সংসারের পাশাপাশি কিছু বাড়তি আয়ের আশায় নারীদের কর্মক্ষেত্রে দেখা গেলেও, পিরোজপুরের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। শহরের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এককভাবে নারীরা পরিচালনা করছেন। পোশাক সেল সেন্টার, বিপনি বিতান, টেইলার্স, বিউটি পার্লারসহ নানা পণ্যের সুপার শপ কিংবা যেকোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারীরা। পাচ্ছেন সফলতাও।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলার পালপাড়ার গিতা রানী জানান, তার স্বামী কয়েক মাস আগে মারা গেলে জীবিকা নির্বাহে ও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করানোর লক্ষ্যে চায়ের ব্যবসা শুরু করেন।
আরেক নারী উদ্যোক্তা হিরা মেইকওভারের সত্বাধিকারী হিরা আক্তার জানান, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য ও স্বাধীন থাকার জন্য মূলত ব্যবসা শুরু করা। পাশাপাশি নিজের সাথে সাথে অন্যদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করাও লক্ষ্য তাদের।
পিরোজপুর মহিলা পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সালমা রহমান হ্যাপী রাইজিংবিডিকে বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান মূল্যায়ন করা হলে, নারীদের সর্বক্ষেত্রে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আমরা মহিলা পরিষদের পক্ষে থেকে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা করে থাকি।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা নারী উদ্যেক্তা এবং নারীদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।