করোনাকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গরীবের কাছ থেকে সম্পদ লুটে নিয়ে ধনীদের দিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা। আর এ জন্য করোনা মোকাবেলায় ইমরান খানের ফান্ডে কোন অর্থ সম্পদ না দেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ করোনা মোকাবেলায় ইমরান খানের ফান্ডে পাঁচ কোটি পাকিস্তানি রুপি দেন যা রেলের গরীব কর্মীদের বেতন থেকেই নেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী তার নিজ ফান্ড থেকে কিছুই দেয়নি বলে অভিযোগ করেন যুক্তরাজ্যে থাকা পাকিস্তানের প্রবাসীরা।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ পালওয়াসা খান বলেন, এভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি আরো খারাপ করছেন। ইমরান খান সরকারের সমালোচনা করে পালওয়াসা খান আরও জানায়, সম্প্রতি সিন্ধ প্রদেশের গভর্নর ইমরান ইসমাইল গরীবদের মধ্যে ত্রাণ দেয়ার সময় তাদের অপমান করেছেন। এ বিষয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ পালওয়াসা খান বলেন, সিন্ধ সরকারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গেছে একজন দরিদ্র নারীকে অবজ্ঞা করে ১২ হাজার রুপি গুনতে বলা হচ্ছে। অথচ এই সম্পদ আমার দেশের জনগণের।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পাকিস্তানি চিকিৎসক কমিউনিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে ইমরান খান রমজান মাসে সামাজিক দূরত্ব রাখার বিষয়ে মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। করোনা প্রকোপের মধ্যেই রমজানে মাসে মসজিদ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কাজ করা পাকিস্তানি একজন ডাক্তার সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি পাকিস্তানের নাগরিকদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। ভিডিটিতে ওই ডাক্তার বলেন, আমরা বেশিরভাগ রোগী পেয়েছি যারা সামাজিক দূরত্ব মানেননি। আমরা চিকিৎসকরাও তাদের চিকিৎসার সময় সকল ধরণের সুরক্ষা নিয়ে নিচ্ছি। আমরা যদি সতর্ক থাকতে পারি আপনারা কেন পারবেন না? এই পরিস্থিতি আপনাদের মসজিদে যাওয়ার দরকার কি? যদি একজন আক্রান্ত হন তাহলে মসজিদের সবাই আক্রান্ত হতে পারেন।
করোনা প্রকোপ বাড়তে থাকায় অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে পাকিস্তানের ইমরান সরকার হয়তো রমজানে মসজিদে নামাজ বন্ধ করার আদেশ দেবেন। এ নিয়ে পাকিস্তানের চিকিৎসক সংগঠনগুলোও আপত্তি জানিয়েছে। তারা বলছে, এতে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।
২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার পাকিস্তানে করোনায় রেকর্ড ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৮৫ জন। মারা গেছেন ৩২৭ জন।