খোকন নেই? তা কি করে হয়। এইতো সেদিন, আমরা মানবজমিন পত্রিকা শুরু করলাম একসাথে। সেদিনের কথা। ভাবতেই বুকের মধ্যে হু হু করে উঠছে, খোকন নেই। অসম্ভব মনে হচ্ছে।
জীবনটা কত ছোট আর অনিশ্চয়তায় ঘেরা, হারিয়ে গিয়ে আবারও বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন এক সময়ের সহযোদ্ধা, হুমায়ুন কবীর খোকন। রাতে যখন তার হাসপাতালে ভর্তি হবার পোস্ট দেখছিলাম ফেসবুকে, তখনও মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, ফিরে আসবে সে । সব সময় মুখে হাসি মুখের খোকন সে সুযোগটা দিল না। রিজেন্ট হাসপাতালের বরাতে আমার সহকর্মী জানালেন, প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি হয়েছিল। করোনা কী না পরীক্ষার সুযোগই হয়নি। মানবজমিনে আমরা পাশাপাশি কাজ করেছি। সেই ভালোবাসার টানে শেষ পর্যন্ত কোন ছেদ পড়েনি। এই করোনা কালেও সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেছেন খোকন। কে জানতো, দু:সময়ে সে হারিয়ে যাবার মিছিলে যুক্ত হবে। অনেক অনেক দোয়া খোকন তোমার জন্যে। চোখের দিব্যি তোমার হাসি দেখছি। কানে বাজছে কত কথা। তুমি ভালো থেকো খোকন, অনেক ভালো।
দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সিটি এডিটর ও চিফ রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায় সে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। আজ বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
কর্মজীবনে হুমায়ুন কবীর খোকন মানবজমিন, আমাদের সময়সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সুনামের সঙ্গে কাজ করেছে।