‘চাকরি করব না, চাকরি দেব’ যুবসমাজকে এই চিন্তা করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ যে ২৭ জন যুবককে পুরস্কার দিলাম, তারা সবাই অনেকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এভাবে যুবকরা আত্মকর্মী হলে আগামীতে বাংলাদেশে কেউ বেকার থাকবে না। যুবকরাই হবে বাংলাদেশের কর্ণধার।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সফল আত্মকর্মী ও যুব সংগঠনের মাঝে ‘জাতীয় যুব পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
যুবসমাজকে আত্মনির্ভরশীল এবং কর্মময় করে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যুবকদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শুধু যুব উন্নয়ন নয়, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের অধীনেও যুবকদের ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছি। যেখান থেকে তারা বিনা জামানতে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে।
কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্কুল থেকেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চাই। শিশু ও তরুণদের সৃষ্টির একটা ক্ষমতা আছে। তা বিকশিত করার জন্য আমরা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া তাদের আলাদা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছি। এর মাধ্যমে স্কুল জীবন শেষ করে যারা কলেজ বা উচ্চশিক্ষা নিতে পারে না তারা বিভিন্ন কর্ম করে খাচ্ছে।
সারা দেশে ২ হাজার ৮০০ ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, যেখান থেকে তরুণ ও যুবকরা ট্রেনিং নিয়ে তারা নিজেরাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং আত্মকর্মী হয়ে উঠছে। এ ছাড়া আমরা অনেকগুলো রেডিও-টেলিভিশনের অনুমতি দিয়েছি। এখানেও অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ট্রেনিং নিয়ে অনেকেই এখন উদ্যোগী হয়ে সফলতা অর্জন করেছে। তারা নিজেরা তো সফল হয়েছে, আরও ১০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।
জাতীয় যুব পুরস্কার প্রাপ্তদের গল্প শুনে ভালো লেগেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ যাদের আমি পুরস্কার দিলাম তাদের জীবনী এবং তাদের সফলতা ও আত্মকর্মী হয়ে ওঠার পেছনে গল্প শুনে আমার খুব ভালো লাগল। এভাবে যুবকরা নিজেদের আত্মকর্মী তৈরি করতে পারে, তাহলে আগামীতে বাংলাদেশ আর কেউ বেকার থাকবে না। কোনো বেকার খুঁজে পাওয়া যাবে না।