Muhammad Sajal
১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই ভাস্কো দা গামা যখন রাজ্যজয়, বাণিজ্য ও খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য পর্তুগাল থেকে পূর্ব আফ্রিকা উপকূল হয়ে ভারতের দিকে রওনা হলেন, তখন তার সাথে ছিলেন ১৭০ জন নাবিক। সেকালে সমুদ্রযাত্রার সময় সাথে শুধু সেসব খাবারই নেয়া হতো, যা শুকনো অবস্থায় বহুদিন টিকে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই জাহাজে থাকা অবস্থায় নাবিকদের খাদ্য-তালিকায় ফলমূল বা শাকসবজির কোনো জায়গা ছিল না। টানা প্রায় সাতটা মাস সমুদ্রে ভেসে তিনি যখন আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের মোজাম্বিকে পৌঁছলেন, দেখা গেল- তার নাবিকদের অনেকেরই হাত-পা ফুলে গেছে, সেখানে দেখা দিচ্ছে লাল দগদগে ঘায়ের মতো ক্ষত। তাদের দাতের মাড়ি এত বেশি ফুলে গিয়েছিল যে, তারা দাঁত দিয়ে কিছু চিবিয়ে খেতে পারছিলেন না।
মোজাম্বিকের লোকজন ভাস্কো দা গামার নাবিকদের এই দুরবস্থা দেখে তাকে একটা পরামর্শ দিল। তারা বলল, বেশি বেশি কমলা আর লেবুর রস খেলে নাবিকদের এই রোগ সেরে যায়।
ভাস্কো দা গামা তার ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, মাত্র ছয়দিন লেবু-কমলার রস খাওয়ার পরই তার নাবিকেরা সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। (১)
ভারত থেকে ফেরার পথে ভাস্কো দা গামার ভাগ্য অতটা ভাল ছিল না। যে কারণেই হোক, তারা লেবু বা কমলা কিনতে পারেননি।
১৭০ জন নাবিক নিয়ে যে বাহিনী ইতিহাস বদলে দেওয়া সমুদ্রযাত্রা শুরু করেছিল, তারা ফিরে আসেন মাত্র ৭০ জন নিয়ে। এই ১০০ জন নাবিকের তেমন কেউই সাগরে ডুবে মারা যাননি। তারা প্রাণ হারিয়েছিলেন আবার সেই মাড়ি ফোলা, হাত-পা ফুলে ঘা হয়ে যাওয়া মারাত্মক রোগে। (২)
আমরা যারা আজকে রোজ রোজ শাকসবজি-ফলমূল খেয়ে অভ্যস্ত, তারা চিন্তাও করতে পারব না, প্রাচীন যুগ-মধ্যযুগে শুধুমাত্র এই সামান্য শাকসবজি আর ফলমূল না খেতে পেয়ে কী করে ঝরে গেছে অন্তত বিশ লাখ নাবিকের জীবন। (৩)
মাড়ি ফোলা, হাত-পা ফুলে ঘা হয়ে যাওয়া এই মারাত্মক রোগকে বলা হতো ‘সমুদ্রের প্লেগ’, এর আসল নাম স্কার্ভি। আর এই স্কার্ভি রোগের ওষুধ খুঁজতে খুঁজতেই আবিষ্কৃত হয় এক জাদুকরি ক্ষমতাসম্পন্ন অণু, ভিটামিন সি।
ভিটামিন সি একটি কার্বন চক্রভিত্তিক যৌগ, এর চক্রকে বলা হয় ফিউরান চক্র। ভিটামিন সি’র রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক এসিড।
ভিটামিন সি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একেবারে মূলে থাকা একটি উপাদান। যদিও এর প্রধান কাজ জীবদেহের কানেক্টিভ টিস্যুগুলোর মধ্যে বন্ধন, পরিবহন ও সমন্বয় নিয়ন্ত্রণ করা। এর বাইরেও এটি আমাদের দেহে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ফ্রি র্যাডিক্যাল এলিমিনেশন, অ্যান্টি ভাইরাল-অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ হিসেবে কাজ করে থাকে।
আজকে আমরা যখন করোনাভাইরাস থেকে উদ্ভূত বিশ্বব্যাপী মহামারি কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় মানবজাতির অর্জিত যাবতীয় চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি, তখন নিজের এসব অন্তর্নিহিত গুণের কারণে আমাদের সামনে এক ম্যাজিক মলিক্যুল হিসেবে হাজির হয়েছে ভিটামিন সি।
কেন ভিটামিন সি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সেরা অস্ত্র?
এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে, দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর আমাদের আসলে কী হয়।
করোনাভাইরাসের আসল নাম ‘SARS COV-2’। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, এটি সার্স ভাইরাসের একেবারে নিকটাত্মীয়। সমস্যা হচ্ছে, এর প্রিয়ন আবরণের বাইরে আছে স্পাইক প্রোটিন। করোনাভাইরাসের যেকোনো ছবিতেই দেখবেন গায়ে অজস্র কাঁটার মতো দানা। এই দানাগুলোই স্পাইক প্রোটিন, যা কি না ভাইরাসটিকে তার যমজ ভাই সার্স ভাইরাসের চেয়ে এক হাজার গুনেরও বেশি সংক্রমণ-ক্ষমতা দিয়েছে। এ কারণে সার্স যেখানে আট মাসে পৃথিবীব্যাপী মাত্র চল্লিশ হাজার মানুষকে সংক্রমিত করেছিল, সেখানে করোনাভাইরাস কেবল চার মাসে সংক্রমিত করেছে দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে, যাদের মধ্যে ইতোমধ্যেই মারা গেছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। (৪) একের পর এক ভেঙে পড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
করোনাভাইরাস আমাদের দেহে প্রবেশ করার পর আমরা কিন্তু এতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই না বা মারা যাই না। আমরা মারা যাই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া দেয়, তার ফলাফলের কারণে।
করোনাভাইরাস দেহে প্রবেশের পর এটি আমাদের ফুসফুসের অ্যালভিওলাস কোষগুলোকে আক্রমণ করে। অ্যালভিওলাস কোষের কাজ হলো রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রাখা। অ্যালভিওলাস আক্রমণ করার পর সেখান থেকে এ ভাইরাস আমাদের রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিনের ফেরাস আয়রনকে জারিত করে ফেরিক আয়রনে পরিণত করে। ফেরাস আয়রন ফেরিকে পরিণত হওয়ায় এটি নতুন করে আর অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না, ফলে আমাদের রক্তের লোহিত কণিকা হারিয়ে ফেলে অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা। এতে করে সৃষ্টি হয় এআরডিএস, তথা অ্যাকিউট রেস্পিরেটরি ডিস্ট্রেস সিনড্রোম। এআরডিএসের ফলেই মূলত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীরা মারাত্মক শ্বাসকষ্ট/নিউমোনিয়ায় ভোগে। (৫)
ওদিকে, এই ভাইরাল সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের দেহে থাকা বায়োলজিক্যাল অ্যালার্ম অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে বিপদ সংকেত দিতে শুরু করে। ফলে, শরীর শুরু করে এক বিশাল তোড়জোড়, দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ ইনফ্ল্যামাসোম কোষগুলো সচল হয়ে সাইটোকাইন ঝড় শুরু করে। সাইটোকাইনের মধ্যে বিশেষ করে ইন্টারলিউকিন-১ বিটা এবং ইন্টারলিউকিন-১৮ এক্ষেত্রে বেশি তৎপর হয়ে ওঠে। বিশেষভাবে দুটো প্রোটিন NLRP3 ও OFR3a-কে করোনাভাইরাস আয়ন ট্রান্সপোর্ট চ্যানেল ও লিপিড-প্রোটিন ট্রান্সপোর্ট চ্যানেলের মাধ্যমে কার্যকর করে অস্বাভাবিক দ্রুত সাইটোকাইন উৎপাদনে দেহকে উদ্বুদ্ধ করে। আর এর ফলে আমাদের ফুসফুসের অ্যালভিওলাস কোষগুলোতে শুরু হয় পানি জমা, অর্থাৎ এডেমা। এ পরিস্থিতিতে আমাদের ফুসফুস অচল হয়ে যেতে থাকে। আমরা হারিয়ে ফেলতে থাকি শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা। (৬)
যেভাবে ভিটামিন সি হয়ে ওঠে ম্যাজিক মলিক্যুল
এক্ষেত্রে, ভিটামিন সি’র অসংখ্য গুণাগুণের তিনটি দিক বিশেষভাবে আমাদের দেহ কাজে লাগায়।
১
ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল এজেন্ট। দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ ম্যাক্রোফেজ কোষ, টি-লিম্ফোসাইট কোষ এবং নিউট্রোফাইল কোষগুলো (এরা শ্বেত রক্তকণিকার বিভিন্ন প্রকরণ) প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি শোষণ করে দেহের করোনাভাইরাস আক্রান্ত অংশের দিকে দলে দলে এগিয়ে যায়। এর পর পরই এরা ভাইরাস আক্রান্ত কোষগুলোর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অ্যান্টিভাইরাল উপাদান হিসেবে ভিটামিন সি তখন করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে শুরু করে। এছাড়াও ভিটামিন সি ভাইরাসের আরএনএ রেপ্লিকেশন থামিয়ে দিতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে, যার ফলে দেহে ভাইরাসের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়। (৭)
২
ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বায়োমলিক্যুল। এটি করোনাভাইরাসের আক্রমণে হিমোগ্লোবিনের যে হিম গ্রুপের যে ফেরাস আয়রন জারিত হয়ে ফেরিক আয়রনে পরিণত হয়, সেটিকে আবারো ফেরাস আয়রনে পরিণত করে। ফলে, অ্যালভিওলাস রক্তে অক্সিজেন পরিবহন আবার শুরু করতে পারে।
৩
ভিটামিন সি অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যাম্যাটরি যৌগ হবার কারণে এটি ইনফ্ল্যামাসোম কোষের দ্বারা যে সাইটোকাইন স্টর্ম শুরু হয়, তার গতিরোধ করে। (৮)
এই তিনটি ভূমিকা পালনের মাধ্যমে ভিটামিন সি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
কথা হচ্ছে, আমরা সবাই-ই তো কম-বেশি ভিটামিন সি গ্রহণ করি। দিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ভিটামিন সি প্রয়োজন ৯০-১০০ মিলিগ্রাম, যা একটি সিভিট বা এক লিটার লেবুর শরবতেই পাওয়া যাওয়ার কথা। তাহলে কেন করোনাভাইরাসে এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে?
কারণ, কোনো ভাইরাল ইনফেকশন বা শক্তিশালী ইনফ্ল্যাম্যাটরি রেসপন্সের সময় দেহে ভিটামিন সি’র চাহিদা আকাশচুম্বী হয়ে যায়। তখন স্বাভাবিক যে ৯০-১০০ মিলিগ্রামের ভিটামিন সি ডোজ, সেটা বিপুল সাইটোকাইনের ঝড়কে থামাতে সক্ষম হয় না।
এই পরিস্থিতি ঠেকাতে প্রয়োজন হয় ভিটামিন সি মেগাডোজের।
দিনে ১,০০০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি ভিটামিন সি গ্রহণ করলে, তাকে পুষ্টিবিজ্ঞানের ভাষায় মেগাডোজ বলা হয়। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর অর্থোমলিকিউলার মেডিসিনের সুপারিশ অনুযায়ী, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য দিনে অন্তত ৩ হাজার মিলিগ্রাম বা ৩ গ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা জরুরি। আর যখন কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তখন তাকে দেহের প্রতি কেজি ওজনের জন্য ২০০ মিলিগ্রাম অর্থাৎ ৬০ কেজি ওজনের একজন মানুষের জন্য দিনে ১২ গ্রাম থেকে ক্ষেত্রবিশেষে ২৪ গ্রাম এবং মারাত্মক উপসর্গের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি গ্রহণের প্রয়োজন পড়তে পারে। (৯)
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কসহ অনেকগুলো দেশেই ভিটামিন সি মুখে খাওয়ার মাধ্যমে ও শিরায় ইঞ্জেকশানের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ওপর প্রয়োগ করে সফলতার সন্ধান মিলেছে। (১০)
আমরা কীভাবে ভিটামিন সি মেগাডোজ নেব?
দিনে ১ গ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি মেগাডোজ যে কেউ নিতে পারে। এক গ্রাম ভিটামিন সি পেতে হলে প্রতিদিন চারটি সিভিট ট্যাবলেট বা দুটি সিভিট ডিএস ট্যাবলেট অথবা একটি সিভিট ফোর্ট ট্যাবলেট খেতে হবে (সিভিট ফোর্ট ডায়বেটিস রোগীদের জন্য)। তবে মেগাডোজ নিতে চাইলে ভিটামিন সি’র সেরা উৎস হতে পারে অ্যাসকরবিক এসিড পাউডার।
তবে ১ গ্রামের বেশি ভিটামিন সি মেগাডোজ নিতে চাইলে অবশ্যই ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন নিয়ে একাডেমিক পড়াশোনা আছে, এমন একজন পুষ্টিবিদ অথবা চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে তার পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য দিনে নিচের সুপারিশমালা অনুযায়ী ভিটামিন সি গ্রহণ করা যেতে পারে:
১) প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, স্বাভাবিক নারী ও পুরুষদের জন্য: প্রতি আধ কাপ স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে এক গ্রাম করে ভিটামিন সি পাউডার মিশিয়ে এক ঘণ্টা পর পর দিনে তিনবারে মোট তিন গ্রাম ভিটামিন সি খেতে হবে। প্রতি এক গ্রাম ভিটামিন সি পাউডারের বদলে চারটি সিভিট বা দুটি সিভিট ডিএস বা একটি সিভিট ফোর্ট গ্রহণ করতে হবে।
২) গর্ভবতী নারীদের জন্য: ওপরের ১ নম্বর নির্দেশনা অনুযায়ীই খাওয়া যাবে, সাথে ৪০০ আইইউ ভিটামিন ই ট্যাবলেট একটি যোগ করতে হবে।
৩) শিশুদের জন্য: ২ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য বাড়তি ভিটামিন সি’র প্রয়োজন নেই, যদি সে ঠিকমতো মায়ের দুধ পান করে এবং মা ভিটামিন সি মেগাডোজ নিতে থাকেন। ২ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য রোজ ৫০০ মিলিগ্রাম, ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্য রোজ ১০০০ মিলিগ্রাম এবং ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য রোজ ১৫০০-২০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ১ নম্বর নির্দেশনা অনুযায়ী খেতে হবে।
সতর্কতা
১) ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সিভিটের চেয়ে সুগার ফ্রি ভিটামিন সি পাউডার গ্রহণ করা ভালো। অন্যথায় গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর হয়ে যেতে পারে।
২) যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাদের ভিটামিন সি পাউডার গ্রহণের সময় পানির সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে দেয়া প্রয়োজন।
ভিটামিন সি সামনের দিনে বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা ব্যবস্থায় আরো অনেক আলোড়ন সৃষ্টিকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এতদিন ধরে নানা কারণে অবহেলিত এই ম্যাজিক মলিক্যুল চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরবর্তী বিপ্লব নিয়ে আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞণ।