নিউইয়র্ক: বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় মানবজাতি আজ হুমকির মুখে। বিশ্বের মধ্যে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা আমেরিকাতে, আর আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ অবস্থা নিউইয়র্কে। করোনাভাইরাসের এই তাণ্ডবে আমেরিকার সরকার ও জনগণ যখন বিপর্যস্ত তখন বিভিন্ন সংগঠন ও মানবদরদী মানুষ এগিয়ে আসছে সরকারের পাশে। এই সংকট মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা।
নিউইয়র্ক সিটিতে যখন চলছে মৃত্যুর মিছিল, সবাইকে যখন ঘরে থাকতে বলা হয়েছে ঠিক তখন মানবতার জন্য বাইরে কাজ করে যাচ্ছে ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, সাংবাদিক, ফায়ারকর্মী, ফার্মাসিস্ট, গ্রোসারী কর্মীসহ কিছু অত্যাবশ্যক শ্রেণী পেশার মানুষ। এর মধ্যে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগ আজ অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সবার সাথে সম্মিলিতভাবে দুর্গতদের পাশে আছে। নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের স্কুল সেফটি বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশী বংশোদভূত অফিসারগণও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরও ঘরে থাকার সুযোগ নেই।
জাতীয় এই দুর্যোগে বাংলাদেশী আমেরিকান স্কুল সেফটি অফিসারদের সংগঠন ‘বাসসা’ তাদের সদস্যদের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি তাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে দেশের পাশে, সরকারের পাশে তথা পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পাশে। গত ২০ এপ্রিল সংগঠনটি তাদের সদস্যদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতায় সংগৃহিত অর্থ দিয়ে করোনাভাইরাস থেকে জীবন রক্ষাকারী নিরাপত্তা সামগ্রী যেমন এন-৯৫ মাস্ক, সার্জারি মাস্ক, গ্লোভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি দান করে।
নিউইয়র্ক পুলিশের স্কুল সেফটি বিভাগের এ্যাডমিনস্ট্রেটিভ অপারেশন্স এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এ্যানডি শিবনারায়ণ এবং সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের অপারেশনস ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট ক্যারি রোজ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এইসব জীবন রক্ষাকারী দ্রব্যসামগ্রী গ্রহণ করেন। এসময় তারা বাংলাদেশী আমেরিকান স্কুল সেফটি অফিসারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদের ভূয়সী প্রসংশা করেন। এসব দ্রব্য সামগ্রী হস্তান্তরের সময় সংগঠন ‘বাসসা’র পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম এবং মো. আনোয়ার।
‘বাসসা’ আহবায়ক রাকিব হাসান এবং যুগ্ম আহবায়ক সেলিম চৌধুরী ও ঝুলন সেন জানান যে, আমেরিকার এই দুর্দিনে ‘বাসসা’র এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং ‘বাসসা’র যেসব সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের পাশে থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদানে কাজ করে যাবে। তারা যেসমস্ত অফিসারের আর্থিক সহায়তায় এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে তাদেরকে সহ সকল বাংলাদেশী আমেরিকান স্কুল সেফটি অফিসারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। প্রেসবিজ্ঞপ্ত।