ওয়াইল্ড (২০১৪)
প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টে ১,৬০০ কিলোমিটারের বেশি হাইকিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছিলেন শ্যারল স্ট্রেইড৷ সেটি দিয়েই এই মুভিটি তৈরি হয়েছে৷ এটি দেখার পর মনে হয়েছে এখনই ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি, বলছেন নিকোল মাইসনার৷
লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া (১৯৬২)
মরক্কো, জর্ডান (ছবি) আর স্পেনের মরুভূমিতে চিত্রায়িত এই মুভি আনে টেয়ারমেসের মধ্যে মরুভূমির প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়েছে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ ও সেনা কর্মকর্তা থমাস এডওয়ার্ড লরেন্সের অভিজ্ঞতা এই মুভিতে তুলে ধরা হয়েছে৷ বিশেষ করে জর্ডানের একমাত্র উপকূলীয় শহর আকাবা ও সিরিয়ার দামেস্কে তাঁর হামলার বিষয় উঠে এসেছে৷
ভিনেটু পার্ট ১-৩ (১৯৬৩-৬৫)
জার্মান লেখক কার্ল মায়ের উপন্য়াসের একটি চরিত্র ভিনেটু৷ তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি মুভি তৈরি হয়েছে৷ এগুলোর বেশিরভাগেরই শুটিং হয়েছে ক্রোয়েশিয়ায়৷ যেমন, প্লিৎভিৎসে লেকস ন্যাশনাল পার্ক (ছবি)৷ বেশ কয়েকটি ঝরনা আর লেকের এই পার্ক হেঁটে কিংবা নৌকায় ঘুরে দেখা যায়৷ (এলিজাবেথ ইয়র্ক ফন ভার্টেনবুর্গ)
জেমস বন্ড ০০৭ - থান্ডারবল (১৯৬৫)
ইয়েন্স ফ্রিৎসে বন্ডের সঙ্গে দুনিয়া ঘুরতে পছন্দ করেন৷ তাঁর প্রিয় একটি জেমস বন্ড মুভি হচ্ছে থান্ডারবল৷ এর মাধ্যমে লন্ডন থেকে বাহামার রাজধানী নাসাওতে ঘুরতে পেরেছেন ইয়েন্স ফ্রিৎসে৷ এরপর ১৯৮৩ সালে থান্ডারবলের রিমেক ‘নেভার সে নেভার অ্যাগেন’ মুক্তি পেলে আবারও বাহামায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর৷
বেস্ট এক্সোটিক মেরিগোল্ড হোটেল (২০১১)
ভারতের জয়পুরে চিত্রায়িত এই মুভিটি পছন্দ করেন ডয়চে ভেলের ক্যায়ারস্টিন শ্মিড্ট৷ কারণ ব্রিটিশ এই কমেডি তাকে জয়পুরের বাজার, প্রাসাদে ঘুরিয়ে নিয়ে আসে৷ তবে ব্রিটিশ পেনশনারদের মতো সেখানে অবসর কাটাতে না চাইলেও দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে ঘুরতে যেতে চান ক্যায়ারস্টিন শ্মিড্ট৷
রাফিকি (২০১৮)
কেনিয়ার দুই তরুণীর ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে এই মুভি তৈরি হয়েছে৷ ক্যামেরার কাজের মাধ্যমে কেনিয়ার দারুণ কিছু চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে মনে করেন উইনি মডেস্টো৷ করোনার সময়ে এই মুভি তাকে কেনিয়ায় তার শেষ সফরের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে৷
ইঙ্কহার্ট (২০০৮)
জার্মান লেখক কর্নেলিয়া ফুংকের ‘ইঙ্কহার্ট’ ট্রিলজির প্রথম বই ইঙ্কহার্ট প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে৷ সেটি নিয়ে ২০০৮ সালে তৈরি মুভিতে ইটালির দুটি জায়গা দেখানো হয়েছে৷ এটি দেখার পরপরই সেসব জায়গায় ছুটে যেতে চেয়েছেন সুসান বনি-কক্স৷
ওয়ান, টু, থ্রি (১৯৬১)
পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির দ্বন্দ্ব স্যাটায়ারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এই মুভিতে৷ তবে যখন শুটিং চলছিল সেই সময় ১৯৬১ সালের ১৩ আগস্ট বার্লিন প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়৷ মুভিটি মুক্তি পায় ঐ বছরের ডিসেম্বরে৷ ঐ সময়কার পরিস্থিতিতে এমন স্যাটায়ারভিত্তিক ছবি ভালো চলেনি৷ পরে ১৯৮৫ সালে আবারও মুক্তি দেয়া হলে এটি সফল হয়েছিল৷ (ক্রিস্টিয়ান হফমান)
লস্ট ইন ট্রান্সলেশন (২০০৩)
ফ্লুরেসেন্ট বাতি, ভবিষ্যৎমুখী ভবন, বৌদ্ধমন্দির - জাপানের রাজধানী টোকিওর এমন চিত্র ফুটে উঠেছে এই মুভিতে৷ তাই সেখানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ইয়ানিস হেক্টোয়া৷
ব্লেড রানার (১৯৮২)
এই সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখে উচ্ছ্বসিত আন্দ্রেয়াস কির্শহোফ৷ বিশেষ করে ডাচ অভিনেতা রাজগার হাওয়ারের শেষ দৃশ্যের মন্তব্যটি তার বিশেষ প্রিয়৷ সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি যা দেখেছি তা তোমরা বিশ্বাস করবেনা৷’’