করোনা-সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই অভিবাসীদের জন্য নয়, ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিল আমেরিকা। গত ১৫ ই এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যথাযথ আবেদনের ভিত্তিতে এইচ১বি, পর্যটন, বাণিজ্য কিংবা পড়ুয়া ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এর পাশাপাশি, আটকে পড়া বিদেশি ছাত্রদের আর্থিক সুরাহা দিতে ক্যাম্পাসের বাইরে কাজের ছাড়পত্রও দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউএসসিআইএস। দু’টি ক্ষেত্রেই আবেদনকারীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে।
ফেডারেল সংস্থাটি আশ্বাস দিয়েছে— পরিস্থিতি যাঁদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, তাঁদের ভিসা সংক্রান্ত আবেদন গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনা করা হবে। হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি সূত্রের খবর, উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে সময়ের মধ্যে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি বা পরিবর্তনের আবেদন করলে মার্কিন মুলুকে আটকে পড়া বিদেশিদের উপস্থিতি ‘বেআইনি’ বলে বিবেচিত হবে না। ক্ষেত্রবিশেষে ২৪০ দিন পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। ভারতে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর পরে কালই আটকে পড়া বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ ফের বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তার পরেই আমেরিকায় কর্মরত বা পড়ুয়া ছাত্রদের জন্য স্বস্তির খবর এল।
করোনা-মোকাবিলায় আপাতত ক্লাসরুমের পঠনপাঠন বন্ধ। প্রায় সব মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়েই ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। পরিস্থিতি যা, তাতে চলতি বছরের পুরোটাই এখন এ ভাবেই চালাতে চাইছে বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের খবর, ২০২১-এর জানুয়ারির আগে ক্লাসরুমে পঠনপাঠন শুরু করতে চাইছে না অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই। এমতাবস্থায় আমেরিকায় আটক ভারত-সহ নানা দেশের পড়ুয়াদের কিছুটা অর্থনৈতিক স্বস্তি দিল ইউএসসিআইএস।
মঙ্গলবার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, ‘‘করোনা-বিপর্যয়ের আবহে অর্থকষ্ট দেখা দিলে আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসের বাইরে অন্য কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারেন। গুরুত্ব বুঝে কিছু ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হবে।’’ সাধারণ পরিস্থিতিতে তাঁদের অর্থনৈতিক সুরাহা দিতে ক্যাম্পাসের মধ্যেই মাসের নির্দিষ্ট কিছু ঘণ্টা কাজের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ইউএসসিআইএসের নতুন ঘোষণা মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি থাকলে, এখন দেশের যে কোনও প্রান্তে বিদেশি পড়ুয়ারা কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন।