অবশেষে তিনি চলে গেলেন। আমাদের ছেড়ে অনেকদূর। আর ফিরবে না সে। দূর আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে রয়ে যাবে সে। আমাদেকে অবলোকন করবেন আর মিটি মিটি হাসবেন। বলবেন, জাহিদ আমাকে ছাড়া কেমন কাটছে?
কাটছে না ভাই। কাটবে না। সময় থমকে গেছে।
পৃথিবীর সবকিছু চলমান। আমি থমকে গেছি।খুব মনে পড়ছে আপনাকে। ভালোবাসা, সাহস, শাসন সব আপনাতে লীন হয়ে গেছে।
খুব কি দরকার ছিলো এখনি যাবার? কি এতো অভিমান ছিলো?কার উপর?
কত কাজ যে এখনো বাকি রয়ে গেলো। অনেক স্বপ্ন ছিলো আপনার স্বপ্নিল চোখে।
স্বপ্ন বোনার কারিগর, তাঁত ফেলে চলে যাবার এখনি কি সময় হয়েছে আপনার?
কি বা বয়স এমন। ৬৩ বছর। এটা কোনো বয়স কি?
আমরা রয়ে গেলাম তার স্মৃতির মহাসাগরে সাম্পান ভাসিয়ে। রয়ে গেলাম তাকে খুঁজে ফিরবো বলে।
কত হাজারো স্মৃতি তার সাথে। পাহার, সাগর, অরন্য সবখানে তার সাথে চরাচর।
খুব মনে আছে, তখন ভোরের ডাক পত্রিকার চিফ অপারেটিং অফিসার, হঠাৎ ফোন, ওপাশ থেকে আজম ভাই বললেন, জাহিদ ভাই একটু অফিসে আসবেন প্লিজ।
আমি বললাম, কখন আসতে হবে।
উনি বললেন, পারলে এখনি।
আমি ৫ টার দিকে অফিসে পৌছে দেখি উনি সুটেট বুটেড।
আমাকে দেখে বলেন, চলেন কক্সবাজার যেতে হবে।
আমি অবাক হয়ে বললাম, এখনি?
উনি বললেন, জি জাহিদ ভাই এখনি। আমি ভাবিকে ফোন করে দিয়েছি, ট্রাভেল ব্যাগ গুছিয়ে রাখবেন।
কারন জানতে চাইলে বললেন, পরে বলছি।
কারন আসলে তেমন কিছু না, উনি নতুন পাজেরো কিনেছেন, তাই ঘুরতে যাবেন।
এরকম হাজারো স্মৃতি উনার সাথে। খুব আমুদে আর মিশুক মানুষ ছিলেন আজম ভাই।
দরদি মানুষ। দরদি মন। অনেক ভুল তার কিন্তু অর্জনও অনেক। যেখানেই গেছেন জয় করেছেন। জয় করেছেন মানুষের মন।
মানতে পারছি না। খুব। কষ্ট হচ্ছে মানতে। কি ভাবে মানবো? কি করে ভুলবো, এই শোক?
না, আজম ভাই মরে নাই। বেঁচে আছে আমাদের মাঝে, আমাদের খুব কাছে।
বিশিষ্ট পর্যটন উদ্যোক্তা, কবি- সাহিত্যিক, টিভি উপাস্থাপক ও নির্মাতা, জাতীয় দৈনিক স্বাধীন মত’র সম্পাদক প্রকাশক, ওশান গ্রুপের ব্যবস্থপনা পরিচালক খন্দকার আলী আজম বাবলা হ্নদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে আল হেরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ১৩এপ্রিল সকালে মারা যান তিনি।
(ইন্না লিল্লাহি অইন্না এলাইহি রাজিউন) গত ১ সপ্তাহ যাবৎ অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
৬৩ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,৩কন্যা,১পুত্র সহ বহুগুন গ্রাহী রেখে গেছেন। ।
-
তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।